Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শেখ হাসিনার শান্তিতে নোবেল পাওয়া উচিত: অর্থমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৯, ০৫:০৪ PM
আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৯, ০৫:০৪ PM

bdmorning Image Preview


অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের যেভাবে আশ্রয় দিয়েছেন তাতে তাদের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত। আশা করা যায়, সারা বিশ্ব এ বিষয়ে একমত পোষণ করবে।

মঙ্গলবার আঙ্কারায় বাংলাদেশ-তুরস্ক যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন সভায় তিনি একথা বলেন। বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ ১৫টি লক্ষ্য সামনে রেখে মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে শুরু হওয়া যৌথ সভাটি তুরস্কের সঙ্গে পঞ্চম সভা। এতে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের স্পিকার মুস্তফা সেন্তোপ।

সভায় অর্থমন্ত্রী বলেন, তুরস্ক চার মিলিয়ন (৪০ লাখ) শরণার্থী আশ্রয় দিয়েছে, আর বাংলাদেশ এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। পৃথিবীর অন্যতম প্রধান জনবসতিপূর্ণ ছোট দেশ বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ হচ্ছে একটি সামাজিক বন্ধন ও সম্প্রীতির দেশ ও এটি আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটি হাতিয়ারও। কিন্তু, রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে এটা অনেকটাই হুমকির মুখে।

তাই বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিকল্প নেই। যেকোনো উপায়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে তুরস্ককে সহায়তা করার অনুরোধ জানান আ হ ম মুস্তফা কামাল।

মন্ত্রী বলেন, তুরস্ক একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। যে দু’টি কারণে তুরস্ক সারা বিশ্বে অত্যধিক সমাদৃত হয় তার একটা হলো অসাম্প্রদায়িকতা, দ্বিতীয়টি হলো জঙ্গিবাদের কারণে বিশ্বের কোথাও মানুষের যেন ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ।

বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের এই নীতিতে অত্যন্ত সামঞ্জস্য রয়েছে। কেননা বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে স্বাধীনতা অর্জনে বিসর্জন এবং ত্যাগ স্বীকারসহ অনেক ক্ষেত্রে অসাধারণ সামঞ্জস্য রয়েছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উদারতার মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আরাকানের এই মুসলিমদের ওপর যে অবিচার করা হয়েছে, সেটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। তুরস্ক এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।

এসময় অর্থমন্ত্রী তুরস্কের স্পিকারকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সালাম ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। তিনি স্পিকারকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং তুরস্কের স্পিকার এতে সম্মতি জ্ঞাপন করেন।

Bootstrap Image Preview