Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ব্রেক্সিট ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পেছাতে রাজি ইইউ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৩৩ AM
আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৩৩ AM

bdmorning Image Preview


ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ব্রেক্সিটের সময় ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়াতে রাজি হয়েছে। ইইউ’য়ের ২৭টি দেশ এ সময়সীমায় সম্মত হয়েছে বলে সোমবার সকালে এক টুইটে জানিয়েছেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক। যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এ ব্লকে রয়ে যাবে এই ২৭ টি দেশই।

টাস্ক জানান, ইইউ সময় শিথিল রেখেই এই সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। অর্থাৎ, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন হয়ে গেলে যুক্তরাজ্য এ সময়সীমার আগেও ইইউ ত্যাগ করতে পারে।

তাই এ সময় বাড়ানোকে টাস্ক ‘ফ্লেক্সটেনশন’ (ফ্লেক্সিবল এক্সটেনশন) আখ্যা দেন। ইইউ’র গত শুক্রবারেই ব্রেক্সিট পেছানোর সিদ্ধান্ত জানানোর কথা থাকলেও ফ্রান্স সময় বেশি বাড়াতে আপত্তি করার কারণে মতৈক্য হতে দেরি হল।

এখন ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলো ব্রেক্সিটে এই তিনমাস দেরির ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে উত্তর পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। এরপরই ইইউ পাকাপাকিভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এর জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় হাতে আছে বলে জানিয়েছেন এক ঊর্ধ্বতন ইইউ কর্মকর্তা।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এমপি’রা প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ১২ ডিসেম্বরে আগাম নির্বাচনের প্রস্তাবের ওপর ভোট করার প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ে ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট টাস্ক ব্রেক্সিট পেছানোর ওই ঘোষণা দিলেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসনের পাশাপাশি এসএনপি এবং লিব ডেম দলও ৯ ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে।

পার্লামেন্ট জনসনের প্রস্তাব অনুমোদন করলে যুক্তরাজ্য পরের মাসের ১ তারিখে, পহেলা ডিসেম্বরে কিংবা ১ জানুয়ারিতেও ইইউ ত্যাগ করতে পারে।

ব্রেক্সিটের জন্য আগের নির্ধারিত সময়সীমা ৩১ অক্টোবর থেকে পিছিয়ে না দিতে সবসময় অটল ছিলেন জনসন।

কিন্তু গত মাসে পার্লামেন্টে বিরোধীদের পাস করা একটি আইন অনুযায়ী ব্রেক্সিটের চূড়ান্ত সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি (২০২০) পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে ইইউয়ের কাছে চিঠি পাঠাতে বাধ্য হন তিনি।

ইইউ এ অনুরোধই রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড টাস্ক। ফলে পরিকল্পনামাফিক ৩১ অক্টোবরে (বৃহস্পতিবার) ব্রেক্সিট আর সম্পন্ন করতে পারছে না যুক্তরাজ্য।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট ডেভিড সাসোলি ব্রেক্সিটের সময় বাড়ানোকে ‘ইতিবাচক’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, “এতে করে যুক্তরাজ্য কি চায় তা পরিষ্কার করে জানানোর সময় পেল।”

Bootstrap Image Preview