বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গে ফের সরব বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ। আগামী ৬ই ডিসেম্বরের মধ্যেই রাম মন্দিরের কাজ শুরু হবে বলে ফের জানালেন তিনি। এর আগে গত ১৭ অক্টোবর মামলার শুনানি শেষে তিনি এই ঘোষণা দেন।
ঘটনাচক্রে, ১৯৯২ সালে অযোধ্যাতে বাবরি মসজিদ যেদিন ভেঙে ফেলা হয়, সেই তারিখটি ছিল ৬ ডিসেম্বর। সেদিকে ইঙ্গিত করে সাক্ষী মহারাজ বলেন, ‘যেদিন এই কাঠামোটিকে(বাবরি মসজিদ) ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, সেই তারিখেই মন্দির নির্মাণ শুরু করা উচিত। এটাই যুক্তিযুক্ত।’
১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়ার পর থেকেই রাম মন্দিরের কথা ঘোষণা করেছিল গেরুয়া শিবির। অয্যোধ্যার ওই স্থান ভগবান রামের জন্মভূমি বলে দাবি করে সেখানে রাম মন্দির গড়ার ডাক দিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব। বিতর্কিত স্থান ঘিরে আদালতে বিচার থমকে ছিল প্রায় এক দশক ধরে। সম্প্রতি এই মামলার শুনানি শেষ করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সূত্রের খবর এই মামলার রায়দান হতে চলেছে ১৭ই নভেম্বরের আগেই। কারণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গোগোই অবসর নেওয়ার আগেই এই মামলার নিস্পত্তি হবে।
আর এই রায়ের আগেই এই নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির সাংসদ সাক্ষী মহারাজ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাম মন্দিরের কাজ আগামী ৬ই ডিসেম্বর থেকেই শুরু হবে। প্রায় ১৫০ বছর ধরে এই স্থান ঘিরে বিতর্ক চলছে। অবশেষে আমরা এই মন্দির গড়ার কাজ শুরু করতে পারব।’
এই শুনানি প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘৪০দিন টানা শুনানি চালিয়ে এত কম সময়ে রায়দান করতে চলেছে কোর্ট। এই দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়ার জন্যে সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ থেকেও এই মন্দির গড়ার ক্ষেত্রে বহু প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। শিয়া এবং সুন্নি দুই বোর্ডই রাম মন্দিরের স্বপক্ষেই কথা বলেছে।’
রাম মন্দির গড়ার প্রসঙ্গে সন্তোষ প্রকাশ করে সাক্ষী মহারাজ বলেন, ‘আর কোনও কিন্তু নয়, আমি জানি কোর্টের রায় কি হতে চলেছে তাই বলছি মন্দির গড়ার কাজ আগামী ৬ই ডিসেম্বর থেকেই শুরু হতে চলেছে।’
অযোধ্যায় রাম মন্দির ঘিরে বিতর্ক আবার উস্কে দিল গেরুয়া শিবিরের নেতার এই মন্তব্য। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।