Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ শনিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ক্রিকেটাররা যখন ধর্মঘটে গ্রামীণফোনের সঙ্গে চুক্তিতে সাকিব, স্পর্ধাটা দেখুন: পাপন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০১৯, ০৫:৪৬ PM
আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৯, ০৫:৪৬ PM

bdmorning Image Preview


নানা দাবিতে ক্রিকেটারদের ধর্মঘট। অতঃপর তাদের দাবিগুলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মেনে নেওয়া! এ নিয়ে মাঠের বাইরেও বেশ উত্তাপ ছড়ায় দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। আপাতদৃষ্টিতে ঝামেলা মিটে গেলেও ক্রিকেটারদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে বোর্ডের টানাপোড়েন যে রয়েই গেছে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন একটি জাতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মোবাইল ফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের সাথে ‘নিয়মবহির্ভূত’ চুক্তি করায় সাকিবের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন তারা।

ক্রিকেটারদের দাবি আন্দোলন চলার সময়েও ২৩ অক্টোবর গ্রামীণ ফোনের সঙ্গে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে একটি চুক্তি করেন সাকিব। ডিজিটাল সমাজ নির্মাণে সবাইকে উজ্জীবিত করাই হবে তার কাজ। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবির অভিযোগ, এই চুক্তি করার ক্ষেত্রে বোর্ডের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন সাকিব।

নিয়ম অনুযায়ী, বিসিবি’র কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত কোনো ক্রিকেটার যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তি করতে চাইলে বোর্ডের কাছ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে এনওসি বা অনাপত্তিপত্র নিতে হবে। গ্রামীণফোনের সঙ্গে চুক্তির আগে সেটি নেননি সাকিব। এমনকি বোর্ডকে এ ব্যাপারে কোনো তথ্যও অবহিত করেননি বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা এই পারফরমার।

এ ব্যাপারে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, “আমাদের বিশ্বাস, তার চুক্তিতে পদ্ধতিগত লঙ্ঘন ঘটেছে। অবশ্যই, আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”

এ বিষয়ে বাংলা জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিসিবি সভাপতি পাপন বলেন, “আমরা আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই। আমরা খেলোয়াড় ও কোম্পানি উভয়ের কাছেই ক্ষতিপূরণ চাইব।”

“আমি এটা ২৩ অক্টোবর শুনেছিলাম। এরপর সাকিব ও গ্রামীণফোনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাতে বলেছি। আমরা চাই সাকিব আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পান। তবে আমরা যদি জানতে পারি এটা সে বোর্ডকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর জন্য করেছে, তাহলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব।”

নরওয়ের টেলিনর কোম্পানির সিংহভাগ অংশীদারত্বের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন ২০০৯-২০১১ সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট বোর্ডের স্পনসর ছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে স্পনসরের নিলামেই অংশ নেয়নি গ্রামীণফোন। উল্টো বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে এক-দুই কোটি টাকায় ব্যক্তিগতভাবে চুক্তি করে তারা। এতে বোর্ডের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি পাপনের।

“এতে ক্রিকেটাররা লাভবান হলেও বোর্ডের ক্ষতি হচ্ছে। এটা হতে দেওয়া যায় না। মন্ত্রণালয় থেকেও নির্দেশ আছে ক্রিকেটাররা যেন এ রকম চুক্তি না করে। তাহলে সাকিব কীভাবে আমাদের না জানিয়ে এই চুক্তি করল। আর চুক্তির সময়টা দেখুন, যখন ক্রিকেটাররা সবাই ধর্মঘটে ছিল। স্পর্ধাটা দেখুন।”

Bootstrap Image Preview