‘গরু একটি তৃণভোজী প্রাণী।’ দেশে দেশে এটাই ছিল সত্য। কিন্তু সেই ধারণা ভেঙে খানখান করে দিল ভারতের গোয়ার ৭৬টি গরু।
মুরগির মাংস থেকে মাছ ভাজা- সব খেয়ে নিচ্ছে। আর এ ঘটনা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে গোয়ার বিজেপি সরকারের।
রাজ্যের মন্ত্রী মাইকেল লোবো বলেছেন, ‘হঠাৎ করেই দেখা গিয়েছে কালাংগুতে এলাকার ৭৬টি গরু এই খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরুগুলোকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে গোশালায়।
কিন্তু সেখানে তাদের ঘাস বা খড় খেতে দিলেও তারা সেসব খাচ্ছে না।’ গোমন্তক গোসেবক মহাসংঘের তরফেও বিষয়টিকে গভীর উদ্বেগের বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার এ খবর প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। রোববার উত্তর গোয়ার আর্পড়া গ্রামের এক অনুষ্ঠানে মাইকেল লোবো বলেন, ‘পশু চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
তারা পরামর্শ দিয়েছেন, এই ৭৬টি গরুকে আলাদা করে গোশালায় রাখতে হবে। তারা এও জানিয়েছেন, গরুর স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস ফিরিয়ে আনতে দিন সাতেক সময় লাগবে।’
দেখা গেছে এ গরুগুলো গোয়ার বিচ লাগোয়া রেস্টুরেন্টগুলো থেকেই মুরগির মাংসের বাতিল অংশ, মাছ ইত্যাদি খেত। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত কয়েক মাসের মধ্যে এই খাদ্যাভ্যাস ধরা পড়েছে।
লোবো জানিয়েছেন, গোয়ার রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে হুহু করে। কমছে জমির পরিমাণও। এ কারণেই হয়তো গরুগুলো এ ধরনের খ্যাদ্যাভ্যাসে পৌঁছেছে। যেসব গ্রাম থেকে গরুগুলো চড়তে আসত রাস্তায় সেগুলো মূলত মৎস্যজীবীদের। গ্রামের মানুষের কারণেই এ বিরল উপলক্ষ দেখা দিয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে সরকারের প্রাণিসম্পদ দফতরের তরফে।
তবে লোবো বলেন, যুগের পর যুগ ধরে গোয়ার সমুদ্র তীরবর্তী গ্রামগুলোতে মৎস্যজীবীরাই থাকেন। অতীতে এমন ঘটনা দেখা যায়নি। গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন গোয়ার এই মন্ত্রী। তবে আশাবাদী, শিগগিরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।