শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, নীতিমালার মধ্যে সর্ব্বোচ্চ এবং নির্ভূল এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। সপ্তাহখানিকের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ তালিকা ঘোষণা করবেন।
রোববার রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলরত শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী এতথ্য জানান।
একযোগে সবশিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষকরা। তাদের বিরোধীতার মুখেই সরকার নতুন নীতিমালার ভিত্তিতে এসব প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেবে। রোববারের বৈঠকেও ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা এমপিওভুক্ত হতে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের সাথে সব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি জানান।
শিক্ষক নেতাদের দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নীতিমালায় সমস্যা আছে ১৬ আনা স্বীকার করে বলছি এই নীতিমালার মধ্যেই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। বর্তমান প্রক্রিয়া শেষ করে নীতিমালা স্থগিত করে সংশোধন করা হবে।
দীপু মনি শিক্ষক নেতাদের আশ্বস্থ করে বলেন, যারা এবার যোগ্য বিবেচিত হতে পারেননি, তারা আগামী বছর সংশোধিত নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিও দেয়া হবে। কেউ এবছর পাবেন। কেউ আগামী বছর পাবেন। কেউ পরের বছর এমপিও পাবেন। এখন থেকে প্রত্যেক বছর এমপিও দেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
তবে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়া ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তারা শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে আশ্বস্থ হতে পারেননি। তাদের ওপর বর্তমান নীতিমালা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ নীতিমালা তারা মেনে নেবেন না। তারা অনশন কর্মসূচি পালন করবেন দাবি আদায়ে।
এদিকে পুরান নীতিমালার ভিত্তিতে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার সকাল থেকে অনশন শুরু করেছেন শিক্ষকরা।
নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বশেষ এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল আট বছর আগে ২০১০ সালের ১৬ জুন। সেদিন সারাদেশের এক হাজার ৬০৯টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) এমপিওভুক্তি করা হয়।
প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী তখন সরকারি বেতনের আওতায় এসেছিল। বর্তমানে সারাদেশের প্রায় সাড়ে আট হাজার নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।