Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মিতুকে জিন নিয়ে গিয়েছিল, আবার ফিরিয়ে দিয়েছে!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৪৫ PM
আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৪৫ PM

bdmorning Image Preview


মীরসরাই উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের শেখটোলা গ্রামের রসুল আহমেদ ও সুরাইয়া বেগমের কন্যা সানজিদা আক্তার মিতু। নিখোঁজ হয়েছিল রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে। ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের পার্শ্ববর্তী একটি বাসায় আন্টির সঙ্গে থাকে। এখানে তাকে একটি জিনে নিয়ে এসেছে। জিন তাকে সিএনজিতে রেখে চলে গেছে। এই জিন তাকে আগেও নিয়ে এসেছিল। আবার বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে।

রাতে বাড়ি ফেরার আগে জানা গেল সে আসলে মিতু। তার বাড়ি মীরসরাইয়ে। সে তার বাবা-মা কিংবা নিকটাত্মীয় কারো মোবাইল নম্বর বা ঠিকানা বলতে পারছিল না।

মীরসরাই উপজেলার মায়ানী ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহমদ নিজামী জানান, রোববার বিকাল ৪টায় আমার এলাকার ইউপি সদস্য জানে আলম ১৪ বছরের এক কিশোরীকে আমার কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।

পশ্চিম মায়ানী গ্রামের শাহ আলম হুজুর তার বাড়ি থেকে উক্ত মেম্বারের কাছে ওই কিশোরীকে হস্তান্তর করেন। পরিচয় জানতে চাইলে কিশোরী জানায়, তার নাম জান্নাতুল ফেরদাউস মরিয়ম।

ইউপি চেয়ারম্যান কিশোরীর বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের পরামর্শ চান। নির্বাহী কর্মকর্তা কিশোরীকে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরে হস্তান্তরের চেষ্টা করছিলেন। এর মধ্যে রাত ৮টার দিকে কিশোরীর পরিবারের হদিস পাওয়া যায়।

জানা যায়, ওই কিশোরী মীরসরাই উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের শেখটোলা গ্রামের। বাবা থাকেন প্রবাসে। খবর পেয়ে মা, চাচাসহ স্বজনরা ইউএনও কার্যালয়ে আসেন। তারা পারিবারিক অ্যালবামের ছবি দেখান।

চাচা মহিউদ্দিন জানান, মিতু মলিয়াইশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। সকালে উঠে নামাজ পড়ে, কোরআন তেলাওয়াত করে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

তিনি জানান, গত রমজানের পরও তার এমন সমস্যা হয়েছিল। এবার পাশের ইউনিয়নে চলে যায়। দুপুরে তাকে পাওয়া যায় শাহ আলম হুজুরের বাড়িতে। তাদের পরিবারে দুপুরের খাবার খায়। আশপাশের গ্রামে তাকে অনেক খোঁজা হয়। ইউএনওর কার্যালয়ে একটি মেয়েকে আনা হয়েছে শুনে তারা ছুটে আসেন।

রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সানজিদাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন নির্বাহী কর্মকর্তা। এসময় অশ্রসিক্ত সানজিদার মা সুরাইয়া আক্তার বলেন, আমার মেয়েকে নিরাপদে ফিরে পাওয়ায় ইউএনও এবং ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, কিশোরীর বয়সন্ধিকালীন কোনো মানসিক চাপের কারণে এ রকম ঘটতে পারে।

Bootstrap Image Preview