Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যুবলীগ নেতা সম্রাটের রিমান্ড বিষয়ে শুনানি আজ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৪৬ AM
আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৪৬ AM

bdmorning Image Preview


অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি (বহিষ্কৃত) ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে ২০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। 

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা সিএমএম আদালতে বেলা ১১টার দিকে মামলাগুলোয় তাকে গ্রেফতার দেখানোসহ এ রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে। এসময় সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হচ্ছে বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র মতে, প্রথমে রমনা থানার নির্ধারিত আমলী আদালতে গ্রেফতার দেখানো আবেদনের শুনানি হবে। আদালত যদি গ্রেফতার দেখানো আবেদন মঞ্জুর করেন তারপর অন্য আদালতে রিমান্ড আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর সম্রাটকে মামলাগুলোয় গ্রেফতার দেখানোর পর প্রত্যেক মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। যার শুনানির জন্য ৯ অক্টোবর ধার্য করা হয়। কিন্তু  তার আগেই কারাকর্তৃপক্ষ তাকে অসুস্থতার জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করায় সেদিন ওই শুনানি পিছিয়ে ১৫ অক্টোবর ধার্য করেন আদালত।

মাদক আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর যুবলীগ নেতা এনামুল হক আরমানও আসামি রয়েছেন। গত ৯ অক্টোবর তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার একই সঙ্গে তারও উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানি হবে।

অস্ত্র আইনের মামলায় রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় একই থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মাহফুজুল হক ভূঞা ওই রিমান্ডের আবেদন করেন।

অস্ত্র আইনের মামলায় রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ৬ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে আটক করা হয়। আটকের সময় আরমান মাদকাসক্ত থাকায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে কারাগারে পাঠানো হয়।

সম্রাট জিজ্ঞাসাবাদে জানান, কাকরাইল অফিসে আরও মাদকদ্রব্য ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ তার সহযোগীরা অবস্থান করছে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে কাকরাইল অফিসে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। সম্রাটের দেয়া তথ্য মতে তার বেড রুম থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি ম্যাগাজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। রুম থেকে দুটি ইলেকট্রিক শক মেশিন ও দুটি লাঠি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আগ্নেয়াস্ত্রের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

মাদক মামলার রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, কাকরাইলে সম্রাটকে নিয়ে অভিযানে তার দেখানো মতে সেখান থেকে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, চার প্যাকেট তাস ও এক হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেন নাই। প্রাথমিক তদন্তে আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

Bootstrap Image Preview