Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আবরার হত্যায় ছাত্রলীগের ১১ জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৫৭ AM
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৫৭ AM

bdmorning Image Preview


বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যায় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ১১ নেতার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে নির্যাতনের সময় তাকে সবচেয়ে বেশি মারধর করেছে মদ্যপ অনিক সরকার।

আজ মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি আরও তথ্য-প্রমাণ পেলে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করবে।

ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি ও প্রত্যক্ষদর্শীর ফোনালাপে জানা গেছে, শিবির সন্দেহেই পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে আবরারকে। এতে ছাত্রলীগের সকাল, মনির, তানভীর, জেমি, তামিম, সাদাত, রাফিদ, তোহা, অনিকসহ ১০-১২ জন নেতাকর্মী জড়িত থাকার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারধর করেছে মদ্যপ অনিক। গত রোববার রাত ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ফাহাদের ওপর চলে নির্যাতন।

এর আগে কমিটি ওই ১১ জনকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। সেই অনুযায়ী, গতকাল সোমবার রাতে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টচার্য স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুয়েট ছাত্রলীগের ১১ জনকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।

তারা হলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সাংগঠিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, উপ-সমাজ সেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, সদস্য মুনতাসির আল জেমি, এহেতসামুল রাব্বি তানিম ও মুজাহিদুর রহমান।

উল্লেখ্য, গত রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, ওই রাতেই হলটির ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।

নিহত ফাহাদ বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে হওয়া চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষের ভেতর ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

Bootstrap Image Preview