Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পাকিস্তানে হামলার আশংকা, ভারতকে পাক সেনাপ্রধানের হুশিয়ারি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:২০ PM
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:২০ PM

bdmorning Image Preview


নিজ দেশের ভূখণ্ডে কোনো হামলা হলে তার জবাব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে নতুন করে এ সতর্কতা দিয়েছে পাক সেনাবাহিনী। খবর তুর্কি গণমাধ্যম ইয়েনি শাফাকের।

বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা দফতরে সামরিক বাহিনীর প্রধান কামার জাজেদ বাজওয়া সামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠকে এ সতর্কবাতা দেন। পরে এক বিবৃতিতে আইএসপিআর এ তথ্য জানায়।

সোমবার ভারতীয় সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেন, ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বালাকোট শহরে ঢুকে জঙ্গি আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছে।

অনেক বিশ্লেষক প্রকাশিত বিবৃতির পর ধারণা করছেন, সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত আরেকটি হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

পাক সেনাপ্রধান বলেন, যে কোনো মূল্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী মাতৃভূমির সন্মান, মর্যাদা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। কাশ্মীর পাকিস্তানের ঘাড়ের শিরা এবং আমাদের সাহসী কাশ্মীরি ভাইদের অধিকারকে অস্বীকার করলে কোনো আপস করা হবে না।

এদিকে কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় ভারত সরকার। পরে সেখানকার কয়েকশত নেতাকে আটক করে ভারতীয় বাহিনী। এরপর থেকে প্রতিবেশী পরমাণু শক্তিধর দেশ দুইটির মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছে। ১৯৫৪ সালে ভারতীয় সংবিধানে আইন করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়। এতে হিমালয় উপত্যাকার মানুষের জন্য বিশেষ কতগুলো সুবিধা দেয়া হয়েছিল।

ভারত ও পাকিস্তান কাশ্মীরের দুটি অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। যদিও তারা উভয়ে কাশ্মীর সম্পূর্ণ দাবি করে আসছে। কার্যত কাশ্মীরের কিছু অংশ চীন নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বড় দুটি যুদ্ধও হয়েছিল।

১৯৮৯ সাল থেকে সংঘর্ষে হিমালয় উপত্যাকায় হাজার হাজার লোক নিহত হয়েছেন বলে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো দাবি করে আসছে।

Bootstrap Image Preview