Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ বুধবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কোরআন হাদীসে জিকিরের ফজিলত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:২৬ PM
আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:২৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ওমর শাহ: রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদেরকে উত্তম আমলের ব্যাপারে সংবাদ দিব কী? যেটা তোমাদের মালিকের নিকট বেশি প্রিয়। যার মর্তবা অনেক অনেক বেশি এবং সোনা ও রূপা খরচ করা থেকেও উত্তম। 

আর তোমাদের শত্রুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করা থেকে উত্তম। অতপর তোমরা তাদের ঘাড়ে আঘাত কর এবং তারা তোমার ঘাড়ে আঘাত করে। তারা বলল, হ্যাঁ! নবীজী (সা.) বললেন, তা হলো আল্লাহর জিকির। মুআজ বিন জাবাল (রা.) বলেন, আল্লাহর জিকির ছাড়া অন্য কোনো জিনিস তার আজাব থেকে বাঁচাতে পারবে না। (সুনানে তিরমিযী ২৬৮৮)

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর স্মরণ করতে থাক স্বীয় পালনকর্তাকে আপন মনে ক্রন্দনরত ও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় এবং এমন স্বরে যা চিৎকার করে বলা অপেক্ষা কম; সকালে ও সন্ধ্যায়। আর বে-খবর থেকো না। (সূরা আরাফ ৭:২০৫)

অর্থাৎ তুমি নিজে নিজে আল্লাহর জিকির গোপনে ও নিজের সঙ্গে এবং আল্লাহর ভয়ে করো। সকাল ও সন্ধ্যায় তোমার নিজের কানে শোনার মত করে। এবং অন্যেরা না শুনে এমনভাবে জিকির কর। আর আল্লাহর জিকির থেকে অসলদের মতো হয়ো না।

এ কথার দ্বারা সকাল-সন্ধ্যা জিকির করার জন্য বান্দাকে উৎসাহিত করা হয়েছে। যাতে তারা অলস না হয়। মুহম্মদ (সা.) ইরাশাদ করেন, যে তার প্রভুর জিকির করে আর যে করে না তাদের উদাহরণ জিন্দা ও মুর্দারের ন্যায়। (বুখারি, কিতাবুত দাওয়াত, অধ্যায়: ফজলু জিকরিল্লাহ)

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের অনেক আয়াতের মধ্যে জিকিরের ফজিলত বর্ণনা করেছেন। জিকির করার আদশে দিয়েছেন। জিকির থেকে বিরত থাকা হতে নিষেধ করেছেন। জিকির না করা হলো অলসতা। অধিক জিকিরের দ্বারা সফলতা পাওয়া যায়। এছাড়াও জিকিরকারীর জন্য প্রশংসা ও উত্তম প্রতিদানের কথা বলা হয়েছে।

আর জিকির সব কিছু থেকে বড়। কেননা, আমলের সমাপ্তি এর দ্বারা ঘটে। আর তার দ্বারা রোজার আমলের পূর্ণতা হয় এবং এর দ্বারা হজ সমাপ্তি হয়। জিকির দ্বারা সালাত ও জুমা শেষ হয়।

উত্তম জিকির:

একটি স্থায়ী আমলযোগ্য উত্তম জিকির হলো, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’

অর্থ: পবিত্রতম আল্লাহ, আল্লাহর জন্যই সমস্ত প্রশংসা, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান। অনুরূপ উত্তম জিকির হলো, যেমন: ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ, ‘হাসবুনাল্লাহু নিয়মাল ওয়াকিল।

এছাড়াও দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণময় ইসতিগফারের দোয়াসমূহ। আর এ দোয়ার উদ্দশ্য হলো আমলে ওপর অটল থাকা, যা তার ওপর ওয়াবিজ অথবা মুস্তাহাব যেমন, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, হাদীসের অধ্যয়ণ। ইলম শিক্ষা করা, নফল নামাজ পড়া।

এ মর্মে জিকির কোনো সময় জিহ্বার দ্বারা হয় এবং এর পাঠকারীকে পূর্ণতা এনে দেয়। জিকিরের সঙ্গে অর্থ জানা শর্ত নয়। তবে এ কথা শর্ত যে, এর দ্বারা ভিন্ন অর্থ না বুঝানোই শর্ত। আর যদি জিকিরকে আত্মার সঙ্গে সম্পর্ক করে নেয়া যায় সেটা হলো অতি পরিপূর্ণ কল্যাণকর।

অবশ্য অর্থ ও মর্ম বুঝে জিকির করা, এতে মহান আল্লাহর মর্যাদা অনুধাবন করা হয় এবং অলসতা আসে না। আর নেক আমলের মধ্যে স্বাদ পাওয়া যায়। নামাজ, জিহাদ ও অন্যান্য ক্ষেত্রেও মহান আল্লাহর ভালোবাসায় পরিপূর্ণতা আসে। আর এটা আরো বেড়ে যায় যদি রাব্বুল আলামিন আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠতা ও তাওয়াজ্জুহ বৃদ্ধি পায়।

Bootstrap Image Preview