Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ রবিবার, মে ২০২৪ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কাশ্মিরে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা করছেন ইমরান খান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:০৬ AM
আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:০৬ AM

bdmorning Image Preview


পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মিরে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা করছেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে তিনি তার আশঙ্কার কথা বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সামনে তুলে ধরেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর ) নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ইমরান খান এ কথা জানান। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। এ সময় ইমরান খান আরও বলেন, তিনি যে যুদ্ধের আশঙ্কা করছেন, সে ব্যাপারটি ওই ফোরামে উপস্থিত কেউ এখনও ভাবতেই পারছে না।

এর আগে, ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাকিস্তানী ভূ খন্ডে বোমা বর্ষণকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌছেছিল। ৫০ বছরের মধ্যে ঐ বোমা বর্ষণই ছিল পাকিস্তানী ভূখণ্ডে প্রথম ভারতীয় বিমান আক্রমণ। তার প্রতি উত্তরে পাকিস্তান ভারতীয় একটি যুদ্ধ বিমান ভূ পাতিত করে ওই বিমানের পাইলটকে আটক করে। পরে ওই পাইলটকে সসম্মানে ভারতের কাছে ফিরিয়ে দেয় পাকিস্তান। কিন্তু তার পরও এই দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

আগস্টে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মিরের বিশেষ সাংবিধানিক অধিকার বিলুপ্ত করার পর দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মিরে অতিরিক্ত সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করে রেখেছে ভারত। কয়েক হাজার কাশ্মিরি জনগণকে গ্রেফতার করা হয়েছে, জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। এমনকি স্কুল, কলেজ, অফিস, হাসপাতাল, ইন্টারনেট, টেলিফোনের মতো জরুরি সেবাও খুব নিয়ন্ত্রিতভাবে চালু রেখে কাশ্মিরকে কার্যত বিশ্ব থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেছেন, ‘হিন্দুত্ববাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে ভারতের ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মিরের এই সংকট তৈরি করেছেন। এক্ষেত্রে একক দায় তার। আমি ভয় পাচ্ছি কাশ্মিরের পরিস্থিতি সকলের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সেখানকার পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ’।

বিজ্ঞাপন

ইমরান খান আরও বলেন, তিনি পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে তার আশঙ্কার কথা ডোনাল্ড ট্রাম্প, এঞ্জেলা মার্কেল, ইম্যানুয়েল ম্যাকরন ও বরিস জনসনকে জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে ভারত এবং পাকিস্তানের সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে উত্তরণের আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান অবস্থাদৃষ্টে নরেন্দ্র মোদির সাথে তার যে সম্পর্ক, তাতে তিনি নিরপেক্ষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারবেন কি না তা নিয়ে বিশ্লেষকদের সংশয় রয়েছে।

Bootstrap Image Preview