Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ সোমবার, মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তেলক্ষেত্রে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ইরানের তৈরি, দাবি সৌদি জোটের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৪৭ PM
আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৪৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দুটি তেলক্ষেত্রে ভয়াবহ হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ‘ইরানের তৈরি’ বলে দাবি করেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট।  

সামরিক জোটের এই দাবির পর মধ্যপ্রাচ্যের চিরবৈরী প্রতিদ্বন্দী সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তেলক্ষেত্রে শনিবারের হামলার এই ঘটনায় ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি দায় স্বীকার করলেও সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইরানই হামলা চালিয়েছে।

তবে ইরান এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তারা যেকোনো ধরনের যুদ্ধের জন্য পুরোমাত্রায় প্রস্তুত রয়েছে। ইরানের সঙ্গে সামরিক সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে প্রস্তুত রয়েছে বলে সোমবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুর পাল্টে মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট আবার বলেছেন, তিনি কারো সঙ্গে যুদ্ধে যেতে চান না। তবে তার দেশ সৌদি আরবের পাশে রয়েছে।

বিশ্বের বৃহত্তম তেলক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলের আবকাইক ও খুরাইস তেলক্ষেত্র। এই দুই তেলক্ষেত্র আক্রান্ত হওয়ার পর বিশ্ব তেল বাজারে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। ১৯৯১ সালের পর বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ।

সৌদি আরবের জ্বালানি অবকাঠামো এর আগেও আক্রান্ত হয়েছিল। কিন্তু এবারের হামলায় তছনছ হয়ে গেছে সৌদি আরবের তেল উৎপাদন। হামলার পর থেকে দেশটির তেল উৎপাদন দৈনিক ৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন ব্যারেল কমে গেছে; যা বিশ্বের সরবরাহকৃত মোট তেলের প্রায় ৬ শতাংশ।

ইয়েমেনে গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে লড়াইরত সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট জোর দিয়ে বলছে, সৌদির তেলক্ষেত্রে হামলার পেছনে হুথিরা জড়িত নয়। তেলক্ষেত্রে হামলায় হুথিদের অস্ত্রের জোগানদাতা ইরানের দিকে আঙুল তুলেছে এই জোট।

পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলতে পারে এমন মন্তব্য ও সিদ্ধান্ত না নিতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে এই সংকটে সব পক্ষের সর্বোচ্চ সংযম দেখানো উচিত বলে মন্তব্য করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ধৈর্যধারণের পরামর্শ দিয়েছে চীন।

Bootstrap Image Preview