চলতি বছর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের চালানো হামলায় ২১ ভারতীয় নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
এরমধ্যেই, পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের সংখ্যালঘুরা অধিক নিরাপদ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এদিকে, অবরুদ্ধ জম্মু-কাশ্মীরে প্রতিদিন ভারতবিরোধী অন্তত ২০টি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এ.এফ.পি।
অবরুদ্ধ জম্মু-কাশ্মীরে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে, মোদি সরকারের এমন বক্তব্য নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
রোববার ফরাসি গণমাধ্যম এএফপি জানায়, কাশ্মীরে প্রতিদিন ভারতবিরোধী অন্তত ২০টি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৩৫ দিনে ৭শ' ২২টি বিক্ষোভ হয়েছে বলেও জানানো হয়। সংঘর্ষে ২শ আন্দোলনকারীসহ আহত হয়েছে ৬শ' ১৫ জন। ১শ ৭০ রাজনীতিকসহ আটক ৪ হাজার ১শ' জনের মধ্যে গেলো দু'সপ্তাহে ৩ হাজার জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়।
এদিকে, কাশ্মীরে ভারতের দখলদারিত্বের প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে পাকিস্তানে।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, গেলো ৭০ বছর ধরে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করে অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে কাশ্মীরিরা। সংগ্রাম ছাড়া কাশ্মীরিদের স্বাধীনতা সম্ভব নয়। তাদের সংগ্রামে পাকিস্তান নৈতিক, আর্থিক সবধরনের সহযোগিতা করবে।
কাশ্মীরে অবরোধ প্রত্যাহরের জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যমানেস্টি ইন্টারন্যাশাল। অবরোধের প্রতিবাদে অনলাইনে একটি পিটিশনের আয়োজন করেছে সংগঠনটি। কাশ্মীরিদের দাবির প্রতি সংহতি এবং সেখানকার শিশুদের নিরাপদ স্কুল যাত্রা নিশ্চিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নোবেলবিজয়ী পাকিস্তানি কিশোরী মালালা ইউসুফজাই।
তবে মালালার আহ্বানের তীব্র সমালাচনা করছেন ভারতের রাজনীতিকরা। পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দলের বিধায়ক বালদেব কুমারের চলতি সপ্তাহে নয়াদিল্লির কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তারা বলেন, পাকিস্তান শিখ ও হিন্দু নেতাদের হত্যা করছে। আর ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, ভারতে সব সংখ্যালঘু নিরাপদে বসবাস করছে।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুরা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। সেখানে শিখ, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কী হচ্ছে-বিশ্ববাসীর তা অজানা নয়। তাদের উচিৎ আগে নিজ দেশের অবস্থার দিকে নজর দেয়া।
এরমধ্যেই, চলতি বছর কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তান ২ হাজার ৫০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে জানিয়েছে ভারত। এতে ২১ ভারতীয় নিহত হয়েছে বলেও দাবি নয়াদিল্লির।
যুদ্ধবিরতি মেনে চলার পাশাপাশি সীমান্তে হত্যা, জঙ্গি অনু্প্রবেশ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা বন্ধে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ভারত।
এদিকে, জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তায় গ্রামবাসীকে প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।