ভারতকে একের পর এক গর্বের শিখরে পৌঁছে দিয়েছে যে ইসরো, ভারতের সেই স্বপ্নের কারখানা জুড়ে রাত থেকে শুধুই হতাশা। শেষ মুহূর্তে আর যোগাযোগ করা গেল না ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে। চাঁদের মাটি ছুঁল কিনা জানা নেই। হয়ত সম্পূর্ণ ব্যর্থ নয়, তবুও পরিকল্পনা মত সবকিছু না হওয়ায় বিজ্ঞানীদের চোখে-মুখে নিরাশার ছবি। উৎসাহ দিতে সকালেই ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তাঁর সামনেই কার্যত ভেঙে পড়লেন ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিবান।
শনিবার সকালেই ইসরো হেডকোয়ার্টারে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে ইসরোর বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন তিনি। বলেন, ব্যর্থতা বলে কিছু হয় না। নতুন ভোর আসবেই। বারবার মনে করিয়ে দেন দেশ তাঁদের সঙ্গে আছে। দেশবাসী যে উদ্বেগ নিয়েছে সারারাত ধরে তা আগামিদিনে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জেদ আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন মোদী যখন ইসরো অফিস ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন তখন ছুটে আসতে দেখা যায় চন্দ্র অভিযানের মূল কারিগর তথা ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিবানকে। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই ভেঙে পড়েন তিনি। আবেগ চেপে রাখতে পারেন না। তাঁকে জড়িয়ে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চশমা খুলে ফেলে চোখ মোছেন কে সিবান। তাঁকে পিঠ চাপড়ে সান্ত্বনা দেন মোদী।
শুক্রবার রাত ১.৪০-এর পর চাঁদের মাটি স্পর্শ করার কথা ছিল ল্যান্ডার বিক্রমের। রাতভর দেশের মানুষ সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের অপেক্ষায় বসে ছিল। কিন্তু, মাত্র ২.১ কিলোমিটার দূরে থাকতেই বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর। কন্ট্রোল রুমে নেমে আসে নৈশব্দ। সেই স্তব্ধতা ভেঙে কে সিবানই ঘোষণা করেন, সব কিছু পূর্ব পরিকল্পনা মত হলেও বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সমস্ত দেশবাসী তখন তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে।