এক মাস আগে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছিল পুরো কাশ্মীর উপত্যকা। এর পরপরই সংসদে বাতিল করা হয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ (এ অনুচ্ছেদে কাশ্মীরিদের বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে)।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি অনুযায়ী উপত্যকার পরিস্থিতি এখন শান্ত। কিন্তু তারপরেও নিরাপত্তা বাহিনীর কড়াকড়ি কিন্তু কমেনি। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে বলেছেন, আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যেই পুরো উপত্যকা থেকে অতিরিক্ত সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী সরিয়ে নেওয়া শুরু করলেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসবে কাশ্মীর। এর মধ্যেই মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর ভর্তি পরীক্ষায় পুরো কাশ্মীর থেকে প্রায় ২৯ হাজার যুবক অংশ নেওয়ায় বেশ উৎসাহী কেন্দ্র। শাসক দল মনে করছে, কাশ্মীরি যুবকদের চাকরির সুযোগ দিতে পারলে এমনিতেই বিচ্ছিন্নতাবোধ এবং সন্ত্রাসবাদ কমে আসবে।
কেন্দ্রীয় সরকার বাড়তি বাহিনী সরিয়ে উপত্যকায় ছন্দ ফেরানোর আশা করলেও সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যরা কিন্তু নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন। মঙ্গলবারের বৈঠকে তাদের বড় অংশই নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি জানান। তারা বলছেন, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন।
তাদের ও পরিবারের নিরাপত্তার দিকটিও সরকার দেখুক। পঞ্চায়েত সদস্যদের উপর হামলার যে আশঙ্কা রয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন অমিত শাহ। আগামী দিনে তাদের নিরাপত্তারক্ষী দেওয়ার পাশাপাশি দু’লাখ টাকার জীবন বিমা করানোর ব্যাপারেও প্রাথমিকভাবে রাজি হয়েছেন তিনি।
আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। আবারও কাশ্মীর মর্যাদা ফিরে পাবে এমন আশ্বাসও দিয়েছেন অমিত শাহ।