Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মসজিদে জামাতে শিশুদের অংশ নেয়ার বিষয়ে ইসলাম কী বলে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:২৯ PM
আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:২৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


মসজিদে নামাজে শিশুদের অংশ নেয়ার বিষয়ে অনেকেই বিতর্কের সৃষ্টি করেন।  অনেক মসজিদে দেখা যায় শিশুদের একপাশে দাঁড় করানো হয়। আলেমদের এবিষয়ে মতামত হচ্ছে শিশুদের মসজিদে যেতে উৎসাহিত করতে হবে। 

মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত আছে যে, একবার হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জামাতের একটা সিজদা খুব দীর্ঘায়িত করলেন। 

তাতে সাহাবারা (রা.) ভাবলেন হয়তো আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোনো সমস্যা হয়েছে, অথবা তার উপর অহি নাজিল হচ্ছে। তাই তিনি সিজদা থেকে উঠতে পারছেন না।

নামাজের পর সাহাবারা এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘এরকম কিছুই হয়নি আমার। আসলে, আমি যখন সিজদায় ছিলাম তখন আমার নাতী হাসান আমার কাঁধে চেপে বসেছিলো। ওর মনের আশা পূরণ হওয়ার আগে ওকে ঘাঁড় থেকে নামাতে মন চাইছিলো না আমার। 

 এতে লক্ষলীয় বিষয় হচ্ছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হজরত আলী (রা.) কে শাসিয়ে দেননি হজরত হাসানকে মসজিদে না আনার জন্য। এমনকি, হাসান ঘাঁড়ে চেপে বসায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামাজেও মনোযোগে বিঘ্ন ঘটেনি।

প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে শিশুদের আল্লাহর ঘরের সঙ্গে পরিচয় করানো ও নামাজের জন্য অভ্যস্ত বানানো একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কেননা শিশুকালে যে জিনিসে অভ্যাস হয়, পরে তা করা সহজ হয়, নচেৎ তা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

এ জন্যই হাদিস শরিফে এসেছে, ‘তোমরা তোমাদের বাচ্চাদের সাত বছর বয়স থেকেই নামাজের নির্দেশ দাও। আর যখন ১০ বছর বয়সে উপনীত হবে, তখন তাদের নামাজে অবহেলায় শাস্তি প্রদান করো।’ -আবু দাউদ: ৪৯৫

Bootstrap Image Preview