গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পাকিস্তানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো গুজরাটের কচ্ছ উপকূল পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে৷ এই সব কমান্ডো আণ্ডার ওয়াটার অ্যাটাকে দক্ষ৷ ফলে সতর্ক করা হয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী৷ সতর্ক রয়েছে নৌসেনাও৷
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, কচ্ছ উপসাগরের হারামি নালা পেরিয়ে পাক কমান্ডোরা ঢুকেছে৷
এর আগে ভারতের নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং জানান, ‘আমাদের কাছে গোয়েন্দা রিপোর্ট এসেছে৷ জানা যাচ্ছে, জয়েশ-ই-মহম্মদের একদল জঙ্গিকে জলের তলা দিয়ে এসে হামলা চালানোর বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। আমরা পুরো বিষয়টায় নজর রাখছি। আমরা আশ্বাস দিচ্ছি যে এরকম ধরনের কোনও অনুপ্রবেশ রুখে দিতে সবরকমের ব্যবস্থা নেব।’
করমবীর সিং আরও উল্লেখ করেছিলেন, ২০০৮-এ মুম্বই হামলা হওয়ার পর থেকে অনেক বেশি সজাগ হয়েছে উপকূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সমুদ্রপথে যাতে কোনোরকম অনুপ্রবেশ না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি৷
তবে নতুন করে তথ্য মিলেছে পাক কমান্ডোদের ব্যাপারে৷ উপকূল সংলগ্ন এলাকায় কোনও সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে এলেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷
গুজরাত উপকূল জুড়ে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী৷ তকমাহীন বা নির্দিষ্ট নামহীন কোনও নৌকার উপস্থিতি নিয়েও নজর রাখছে কোস্ট গার্ড৷ চলছে চিরুণি তল্লাশি৷ পণ্যবাহী জাহাজগুলিকেও বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে বলে খবর৷
সতর্কবার্তা জারি করে একটি নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে আদানি বন্দর সহ বিভিন্ন বন্দরে৷ পাক কমান্ডোদের কথা উল্লেখ করে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে নৌসেনাকে৷
এর আগে, জানানো হয়েছিল সীমান্ত বরাবর কমাণ্ডো মোতায়েন করেছে পাকিস্তান৷ ১০০ জনেরও বেশি স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ বা এসএসজি কমান্ডো নিয়োগ করা হয়েছে বলে সূত্র মারফত খবর মেলে৷
পাকিস্তানের এই পদক্ষেপের পরেই সতর্ক হয়ে যায় ভারত৷ ভারতীয় সেনা কড়া নজরদারি শুরু করে সীমান্ত বরাবর৷ এই কমান্ডোরা বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন, যেমন জইশ ই মহম্মদ, লস্করের মতো সংগঠনগুলিকে ভারতে অনুপ্রবেশে সহায়তা করছে বলে তথ্য মেলে৷ এ খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম কলকাতা২৪।
সম্প্রতি গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছিল, জইশ ই মহম্মদের সাহায্যে ১২ জন আফগান জিহাদি লেপা উপত্যকায় ঘাঁটি তৈরি করেছে৷ এরা পাকিস্তানের ব্যাট (BAT)কে হামলা চালাতে সাহায্য করছে৷ জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই রউফ আজহার ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে একটি বৈঠক করেছে৷
অগাষ্ট মাসের ১৯-২০ তারিখ নাগাদ এই বৈঠকটি হয়৷ কীভাবে ভারতীয় সেনার ওপরে কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে হামলা চালানো হবে, তার খসড়া তৈরি হয় ওই বৈঠকে বলে খবর৷