Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আলোচনায় বসার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে পরমাণু চুক্তিতে ফিরে আস্তে হবে: রুহানি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০১৯, ১২:৪৬ PM
আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০১৯, ১২:৫৫ PM

bdmorning Image Preview


ইরানের সঙ্গে পরমাণু সঙ্কট নিয়ে বরাবরই আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ইরান চায়, আলোচনায় বসার আগেই যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তিতে ফিরে আসুক। প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি থেকে শুরু করে দেশটির অন্যান্য নেতারা বিভিন্ন সময়ে একই দাবি জানিয়ে আসছেন।

বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুর এক সংবাদ সম্মেলনে ফের এই কথার পুনরাবৃত্তি করেছেন মালয়েশিয়ায় সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ জারিফ।

তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার পাশাপাশি তেহরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসা তেহরানের পক্ষে সম্ভব নয়।

গত কয়েক মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও অসংখ্যবার ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসে একটি নয়া পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সর্বশেষ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো গত সপ্তাহে বলেছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাৎ হতে পারে। তবে তার ওই বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেচেন প্রেসিডেন্ট রুহানি।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুয়ালালামপুরে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) যদি আলোচনার কক্ষে প্রবেশ করতে চায় তাহলে তাদেরকে আগে একটি টিকেট কিনতে হবে। আর সে টিকেটটি হচ্ছে তাদেরকে পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসতে হবে।’

জারিফ আরো বলেন, তার দেশ আলোচনার জন্য আলোচনা চায় না। বরং কোনো ফলাফল আসার সম্ভাবনা দেখা দিলেই কেবল আলোচনার টেবিলে বসবে ইরান।

প্রসঙ্গত, বারাক ওবামা মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষর করে ইরান। ওই সমঝোতার ভিত্তিতে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করে এবং তেহরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় পাশ্চাত্য দেশগুলো । কিন্তু গত বছর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার দেশকে এই সমঝোতা থেকে বের করে নিয়ে তেহরানের ওপর একতরফা কঠোর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেন। যার ফলে দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

Bootstrap Image Preview