Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রাত পোহালেই আসামে প্রকাশিত হবে ‘এনআরসি’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০১৯, ১০:৪৯ AM
আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০১৯, ১০:৪৯ AM

bdmorning Image Preview


আধাসামরিক বাহিনীর উপস্থিতিতে আগামীকাল প্রকাশিত হবে আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণ যা ‘এনআরসি’। আগের চূড়ান্ত খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলো ৪২ লাখ মানুষের নাম। যাদের অধিকাংশই বাংলাভাষী হিন্দু বা মুসলমান। এই বিপুল জনগোষ্ঠির কারা নিশ্চিন্তে ঘুমাবেন আর কাদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়বে, ক্রমশই তীব্রতর হচ্ছে সেই দুশ্চিন্তা।

শনিবার সকালে সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে রাজ্যের প্রতিটি সেবাকেন্দ্র প্রস্তুত হয়েছে। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। আসামের প্রতিটি জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী। কড়া নজর রেখেছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার। পুরো রাজ্যে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, উৎকণ্ঠায় প্রহর গুণছে ওইসব মানুষ।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুপুরের মধ্যেই রাজ্যের সমস্ত নাগরিকপঞ্জি কেন্দ্রগুলোতে তালিকা টাঙিয়ে দেয়া হবে। তালিকায় নামের সঙ্গে প্রকাশ করা হবে বৈধ নাগরিকদের ঠিকানা ও ছবি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে থেকে আসামে বসবাসকারী ভারতীয়দের নাম থাকবে তালিকায়। সার্বিক বিষয় নিয়ে নাগরিকপঞ্জির সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলা বলেছেন, এনআরসি সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে আমরা প্রস্তুত। শনিবার সকাল থেকেই এনআরসি সেবাকেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি অনলাইনে, এসএমএসের মাধ্যমে মানুষ নিজের নাম দেখতে পাবে। তিনি বলেন, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও এ ব্যাপারে সবাইকে জানানো হয়েছে। চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন। নাগরিকপঞ্জির তালিকা প্রকাশ উপলক্ষে রাজ্যে ২২০ প্লাটুন অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বিশেষ স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে বসানো হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা। হেলিকপ্টারে নজরদারি শুরু হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে। কড়া নজর রাখা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।

রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে আসাম পুলিশের এডিজিপি পল্লব ভট্টাচার্য বলেন, তালিকা প্রকাশের আগেই জেলাভিত্তিক স্পর্শকাতর স্থানগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা ও পুলিশ। এনআরসিতে নাম তালিকাভুক্ত করতে আসামের মোট ৩ কোটি ২৯ লাখ মানুষ আবেদন করেন। ৩১ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ কোটি ৯০ লাখ নাম ঠাঁই পায় এনআরসিতে। এরপর ২৯ জুলাই প্রকাশ করা হয় দ্বিতীয় দফার তালিকা। এনআরসি তালিকাভুক্ত হতে না পারলে অনেকেই মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর বা ত্রিপুরার মতো আশেপাশের রাজ্যগুলোতে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

১৯৫১ সালে প্রথম এনআরসি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এই রিপোর্ট অনুসারে পরবর্তী সময়ে দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নাম নথিভুক্ত করা হয়। এ ব্যাপারে তাদেরকে সবরকম তথ্যপ্রমাণ দেখাতে হয়েছে। ওইসব তথ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview