স্ত্রীর কাছে হাতেনাতে ধরা খেয়েছেন এক ব্যক্তি মধ্যরাতে ছোটবেলার বান্ধবীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায়। এ ঘটনায় তার স্ত্রীকে নির্যাতন করেছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পাটুলিতে।
ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের খবরে বলা হয়েছে, ছয় বছর আগে শোভাবাজারের বাসিন্দা শুভঙ্কর দে’র সঙ্গে বিয়ে হয় গড়িয়ার বাসিন্দা মিঠুর। তাদের এক ছেলে সন্তানও আছে।
তবে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। কিন্তু মাস তিনেক আগে তাদের দাম্পত্য জীবনের কলহ চূড়ান্ত পর্যায়ে রূপ নেয়। এতে স্বামী শুভঙ্কর হঠাৎ বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় থাকছিলেন এবং তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ফোন করেও তাকে পাওয়া যেত না।
এর পর শুভঙ্করের বন্ধুদের কাছে স্বামী সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে মিঠু জানতে পারেন, শুভঙ্কর এক নারীর সঙ্গে পাটুলির নরেন্দ্রপুর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকছেন। আরো খোঁজখবর নিয়ে মিঠু জানতে পারেন, শুভঙ্কর যে মেয়েটির সঙ্গে রয়েছেন, সেই মেয়েটি তার ছোটবেলার বান্ধবী। তার নাম শুভমিতা দে।
সম্প্রতি দু্জনের মধ্যে ফের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে শুভঙ্কর এবং দুজনে আলাদা বাড়ি ভাড়া নিয়ে লিভ-ইন শুরু করেন।
এরপর বুধবার মধ্যরাতে নরেন্দ্রপুর এলাকার ওই বাড়িতে হানা দেন মিঠু। শুভঙ্কর এবং শুভমিতাকে একেবারে হাতেনাতে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ধরে ফেলেন।
মিঠুর অভিযোগ, হাতেনাতে ধরে ফেলার পর উল্টো তার স্বামী ও প্রেমিকা মিলে তাকে মারধর করে। তার চিৎকার শুনে আশেপাশের মানুষজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান।
পাশাপাশি শুভঙ্কর ও শুভমিতাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। ওই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।