Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ রবিবার, মে ২০২৪ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পানিপথে ভারতে হামলা চালাতে পারে পাকিস্তানের কমান্ডোরা!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০১৯, ০৬:৫১ PM
আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০১৯, ০৬:৫১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


দিন যতই যাচ্ছে কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ততই বেড়ে চলছে। দুদেশ একে অপরের প্রতি হুমকির পাশাপাশি উপাতাক্য সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি পাকিস্তান যেকোনো সময় ভারতে হামলা চালাতে পারে বলে গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যে উঠে এসেছে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গুজরাটের বন্দর দিয়ে প্রশিক্ষিত পাক কম্যান্ডো বা জঙ্গিরা ভারতে প্রবেশ করতে পারে। গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্য পেয়ে বন্দরগুলোতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। উপকূলরক্ষী বাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

কাণ্ডলা, মুন্দ্রাসহ সব বন্দরেই জাহাজগুলোর ওপর কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করলেই পুলিশ বা উপকূলরক্ষী বাহিনীকে জানাতে বলা হয়েছে।

ভারতের গোয়েন্দাদের বরাক দিয়ে আনন্দবাজার জানায়, গুজরাতের কচ্ছের রণ এলাকায় পানিপথে পাকিস্তান প্রশিক্ষিত জঙ্গি বা কম্যান্ডোরা ঢুকে পড়তে পারে। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা চালাতে পারে বা জঙ্গি হামলাও চালাতে পারে, এমনই ‘ইনপুট’ পেয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। তার পরই রাজ্যের সব বন্দরেই কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ঠিক কোন জায়গা দিয়ে জঙ্গিরা ঢুকতে পারে, সেই নির্দিষ্ট তথ্যও হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। আদানি পোর্ট ও স্পেশাল ইকনমিক জোন (সেজ)-এর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উপকূলরক্ষী বাহিনীর কার্যালয় থেকে তাদের জানানো হয়েছে, কচ্ছ উপসাগরের হারামি নালা বা স্যর ক্রিক খাড়ি দিয়ে জঙ্গিরা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকতে পারে। এই জঙ্গিরা জলের নিচে হামলা চালানোতেও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

সতর্কতা জারি করে উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, সম্ভাব্য পাক জঙ্গি হানার আশঙ্কায় ‘নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেকোনো রকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বাহিনীকে।’

কী ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে, তারও একটি গাইডলাইন দিয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। তাতে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রস্তুত থাকতে এবং ২৪ ঘণ্টা কড়া নজরদারি রাখতে হবে।

স্পর্শকাতর এলাকায় সর্বোচ্চ সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তল্লাশি চালাতে হবে সন্দেহজনক ব্যক্তি, বস্তু বা নৌকা দেখলেই। উপকূল বরাবর স্থলভাগের সমস্ত অফিস বা বাড়িতে পার্ক করা গাড়িতেও তল্লাশি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে চলছে ২৪ ঘণ্টা পেট্রলিং।

Bootstrap Image Preview