Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১০ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ নভেম্বর-ডিসেম্বরেই: পাকিস্তানি মন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০১৯, ০৮:৩৫ PM
আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০১৯, ০৮:৩৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হতে পারে। পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদের মন্তব্য থেকে এমন আভাস পাওয়া গেছে।

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর তিনি বলেছিলেন, আমি রেলমন্ত্রী থাকতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কোনো ট্রেন চলবে না। এ বার তিনি যেন অকেটা ভারত-পাক যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিলেন।

বুধবার রাওয়ালপিন্ডিতে সাংবাদিকদের শেখ রশিদ বলেছেন অক্টোবর-নভেম্বরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হবে। এটাই হবে দু’দেশের মধ্যে শেষ যুদ্ধ।

৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল ৫ অগস্ট। তার পরে পরেই বন্ধ হয়ে যায় ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত করা দিল্লি-লাহোর সমঝোতা এক্সপ্রেস। মুনাবো খোকরাপাড় সীমান্ত দিয়ে যাতায়াতকারী যোধপুর-করাচি থর এক্সপ্রেসও বাতিল ঘোষণা করে ইসলামাবাদ। আর সেই সময়ই পাক রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ ঘোষণা করেছিলেন তিনি রেলমন্ত্রী থাকলে দু’দেশের মধ্যে কোনো ট্রেন চলবে না। কিন্তু এ বার সরাসরি যুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণীই করে বসলেন সেই রশিদ।

রাওয়ালপিন্ডিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, অক্টোবরের শেষে এবং নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ দেখতে পাচ্ছি। তার জন্য দেশকে তৈরি করছি। মোদীকে চিনতে অনেক বড় বড় নেতা ভুল করেছেন, কিন্তু আমি ভুল করিনি। এখানেই না থেমে তিনি বলেন, বর্বর ও ফ্যাসিস্ট নরেন্দ্র মোদীর জন্যই পাকিস্তান ধ্বংসের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। মোদীর সামনে পাকিস্তানই একমাত্র বাধা। ধর্মীয় ভাবাবেগ উস্কে দিয়ে রশিদের প্রশ্ন, সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই ইস্যুতে চুপ কেন?

৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর থেকে মাঝে মধ্যেই গরম গরম মন্তব্য করে দু’দেশের পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তুলতে চাইছেন। যুদ্ধের উস্কানিও দিয়ে যাচ্ছেন। সোমবারও তিনি বলেছেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারত হামলা চালালে সেটা হবে সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা। সেই যুদ্ধ শুধু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা হলে গোটা উপমহাদেশের মানচিত্রই বদলে যাবে।

বুধবার আরো কয়েক কদম এগিয়ে রশিদ বলেন, ২৫ কোটি মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তাই সমস্ত দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সরিয়ে কাশ্মীরের দিকে হাত বাড়াতে হবে আমাদের, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে হবে। না হলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।

Bootstrap Image Preview