জঙ্গীগোষ্ঠী জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ-জেএমবির ভারত শাখার অন্যতম শীর্ষ নেতা মুহাম্মদ ইজাজ ওরফে আহমেদ ইজাজকে আটক করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স। তাকে বিহারের গয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আনন্দবাজার।রোববার বিকেলে ইজাজকে প্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্পেশাল টাস্কফোর্সের যুগ্ম কমিশনার শুভঙ্কর সিন্হা সরকার।
এসটিএফের দাবি, বেঙ্গালুরু ও ভাগড়াগড় বোমা হামলার অন্যতম অভিযুক্ত কাওসার গ্রেপ্তার হওয়ার পর সংগঠনের প্রধান হিসাবে কাজ করছিলো ইজাজ। বুদ্ধগয়াতে ২০১৮ সালে তিব্বতের নির্বাসিত ধর্মগুরু দালাই লামার সফরের সময়ে বিস্ফোরণের গোটা পরিকল্পনায় অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলো সে।
বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের পর যখন এসটিএফের হাতে জামায়তুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের সদ্য গঠিত ভারতীয় শাখা জামায়াতুল মুজাহিদিন হিন্দের ধুলিয়ান মডিউলের একের পর এক সদস্য ধরা পড়ছিলো, তখন গা ঢাকা দেয় ইজাজ। গোয়েন্দাদের দাবি, বাঙালি শ্রমিকদের ভিড়ে মিশে সে বেশ কয়েক মাস বেঙ্গালুরু এবং কেরালায় কাটায়। তদন্তকারীদের সন্দেহ, কিছু দিন সে বাংলাদেশেও ছিল। স¤প্রতি সে ফিরে আসে এবং গয়াতে আশ্রয় নেয়।
তদন্তকারীদের দাবি, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসামে যে বেআইনি মাদ্রাসাগুলিতে জেএমআই নিজেদের ঘাঁটি তৈরি করে সদস্য নিয়োগ করছে তার ম‚ল দায়িত্বে ছিল ইজাজ। বীরভ‚মের পাড়–ইয়ের অবিনাশপুরের বাসিন্দা সে। গোয়েন্দাদের দাবি, বীরভূমে জেএমবি-র মডিউল তৈরির সময়েই সে জেএমবি ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। ২০১৪ সালে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরবর্তী সময়ে কাওসার এবং বর্ধমান-বীরভূম মডিউলের বাকি সদস্যরা গা ঢাকা দিলে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দায়িত্ব বর্তায় ইজাজের উপর। সেই থেকে সে কাওসারের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। পরে কাওসার গ্রেফতার হওয়ার পর জেএমবি-র আল-কায়দা ঘনিষ্ঠ শাখার প্রধান বড় ভাই ওরফে সালাউদ্দিন সালেহিন তাকে ভারতের সংগঠনের ‘আমির’ বা প্রধান হিসাবে ঘোষণা করে।
এসটিএফের গোয়েন্দাদের দাবি, সালাউদ্দিন সালেহিনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত ইজাজ। তাকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবেন গোয়েন্দারা। তাকে জেরা করে সালাউদ্দিনের হদিশ পাওয়া যাবে বলেও মনে করেন তারা।