Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ শনিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ সেজে ডাকাতি, ৩ বাংলাদেশি গ্রেফতার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০১৯, ০১:০৮ PM
আপডেট: ২১ আগস্ট ২০১৯, ০১:০৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পুলিশের পোশাক পরে ডাকাতির ঘটনায় তিন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্য পুলিশ। গত সোমবার তাদের গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার স্থানীয় আদালতে হাজির করে বারুইপুর জেলা পুলিশ। পরে আদালত তাদের রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়েছে, রোববার গভীর রাতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার আমবাগান এলাকার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দেয়। ডাকাতরা সংখ্যায় ১০/১২ জন ছিল। এর মধ্যে একটি দল নিজেদেরকে পুলিশ সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে ওই বাড়িতে ঢুকে পড়ে। বাকিরা বাড়ির বাইরে থেকে নজরদারি করে। 

ডাকাতদলের কাছে খবর ছিল ইলেকট্রনিক পণ্য ব্যবসায়ী অরূপ দত্তের কাছে সোনার বিস্কুট রয়েছে। আর সেই লোভেই ওই রাতে তার বাড়িতে হানা দেয় তারা। যদিও বাড়ির মালিক বোঝানোর চেষ্টা করেন তার কাছে এমন কিছু নেই। সোনার বিস্কুট না পেলেও বাড়ির ঠাকুর ঘরে প্রবেশ করে ঠাকুরের গায়ে থাকা গহনা, নগদ অর্থসহ বেশ কিছু জিনিস নিয়ে পালায় তারা।

ডাকাতি করে পালানোর সময় ওই রাতেই স্থানীয় বাসিন্দারা দিপু শর্মা নামে এক দুর্বৃত্তকে ধরে ফেলেন। এরপর গণপিটুনি দিয়ে দিপুকে বারুইপুর জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই ঘটনায় তিন সন্দেহভাজন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

অভিযুক্তরা হলেন- রেজাউল শেখ, মামুন শেখ ও সবুজ শেখ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় পুলিশের পোশাক, ছুরি, ৩ রাউন্ড গুলি, গহনা ও কয়েক হাজার রুপি। 

পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে ডাকাতদলের মূল চক্র হলো রেজাউল শেখ। এর আগেও তার বিরুদ্ধে কলকাতার একটি জায়গায় ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনায় সাত বছরের কারাভোগও করেছেন তিনি।

পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন রেজাউল। এরপর ভুয়া নথি দিয়ে নিজের নামে ভোটার কার্ড করেন তিনি। বর্তমানে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ধপধপি এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন রেজাউল। এরই মধ্যে অপরাধী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য একটি সংঘবদ্ধ চক্র তৈরি করে ফেলেছেন তিনি।

গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

জেলা পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খান জানান, ‘আমাদের হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে সন্দেহভাজন চারজনেরই টেস্ট আইডেন্টিফিকেশন (টিআই) প্যারেড করানো হয়েছে। তাদেরকে হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের কাছ থেকে লুটের সব জিনিসপত্র পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Bootstrap Image Preview