Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিশেষ বিমানে করে আনা হচ্ছে মশা নিধনের ওষুধ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ আগস্ট ২০১৯, ১২:৩১ PM
আপডেট: ০১ আগস্ট ২০১৯, ০১:০৩ PM

bdmorning Image Preview


বিশেষ বিমানে করে মশা নিধনের জন্য বিদেশি ওষুধের নমুনা বৃহস্পতিবার দেশে আসছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চকে দুই সিটির আইনজীবীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। একইসঙ্গে ওই নমুনা ওষুধের কার্যকারিতার ওপর মহাখালীর একটি ল্যাবরেটরিতে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা চালানো হবে বলেও তারা আদালতকে জানান। 

এছাড়া ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু নিধনে ৪টি কোম্পানির ওষুধ (ম্যালাথিয়ন, ম্যালেথিয়ন আরএফইউ, ডেল্টামেথ্রিন, পিরিমিফোস) আমদানি করতে চায় বলে জানিয়েছে।

আদালতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সায়রা ফাইরোজ।

এর আগে গত ২৫ জুলাই ওষুধের ডোজ বাড়িয়ে দিয়ে এডিস মশা নির্মূল ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। 

এই সময়ের মধ্যে ওষুধ ব্যবহার করে মশা নিধন হয়েছে কিনা, সে বিষয়েও প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন আদালত। কিন্তু মশা নিধনে কার্যকরী ফল না পাওয়ায় গত ৩০ জুলাই এডিস মশা নিধনে কার্যকর ওষুধ কবে দেশে আসবে, তা সরকার এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুর দুটার মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় ওষুধের বিষয়ে দুই সিটির আইনজীবীরা হাইকোর্টকে বিষয়টি অবহিত করেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৪ জুলাই আদালত তার আদেশে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র, নির্বাহী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

একইসঙ্গে নাগরিকদের ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়া বন্ধ করতে এবং এডিস মশা নির্মূলে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।

পরে ওই বিষয়ে দুই সিটির পক্ষ থেকে গত ২২ জুলাই হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। কিন্তু সেই প্রতিবেদনে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে তলব করলে গত ২৫ জুলাই তারা সশরীরে হাজির হয়ে আদালতে ব্যাখ্যা দেন।

Bootstrap Image Preview