Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গণপিটুনিতে ভ্যানচালকের মৃত্যু, স্বামী চিকিৎসা পায়নি বললেন স্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০১৯, ০৮:২৮ PM
আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৯, ০৮:২৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গণপিটুনিতে ভ্যানচালক মিনু মিয়ার (৩০) মৃত্যুর ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার সিংগুরিয়া গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন ওই গ্রামের হানু মন্ডলের ছেলে রুবেল মিয়া এবং একই গ্রামের বাদশার ছেলে শামিম মন্ডল। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই। মিনু মিয়া ভূঞাপুর উপজেলার টেপিবাড়ি গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে।

কালিহাতী থানা পুলিশের এসআই ফারুকুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এর আগে এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হলো।

গত ২১ জুলাই দুপুরে কালিহাতীর সয়া গ্রামে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হন মিনু মিয়া। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়। আটদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মিনু মিয়ার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে মিনু মিয়ার ভাই রাজীব হোসেন কালিহাতী থানায় মামলা করলে গত ২৩ জুলাই ছয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ভূঞাপুর উপজেলার টেপিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মিনু মিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নেয়। জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

মিনু মিয়ার স্ত্রী বলেন, ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পর আমাদের কোনো সিট দেয়া হয়নি। প্রথম তিনদিন তাকে সিঁড়িতে থাকতে হয়েছে। ওই তিনদিনে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে যায়। টাকার অভাবে মিনুর উন্নত চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। অনেকেই পাশে থাকার আশ্বাস দিলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। আমার উপার্জনের কোনো পথ নেই। কেউ যদি কোনো সহযোগিতা না করে তাহলে সন্তান নিয়ে না খেয়ে থাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই আমাদের।

Bootstrap Image Preview