Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্কুলছাত্রীকে আড়াইমাস আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে ফুপা!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০১৯, ০৭:৩২ PM
আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৯, ০৭:৩২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


টাঙ্গাইলের সখীপুরে আড়াই মাস আগে নিখোঁজ হয়েছিলো অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী। তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে মেয়েটিকে নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা থেকে উদ্ধার করা হয়। মেয়েটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মেয়েটির মা অপহরণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে সখীপুর থানায় মামলা করেন। এ অভিযোগে মেয়েটির আপন ফুপা মানিক খানকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতার মানিক নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার গোহালাকান্দা গ্রামের সোবহান খানের ছেলে। মানিক বছর তিনেক আগে গাজীপুরে পোশাক কারখানায় চাকরি করার সময় ওই মেয়েটির ফুপুকে বিয়ে করে।

সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক জানান, গত ১৪ মে মেয়েটি সখীপুর উপজেলার গ্রামের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। কয়েকদিন খোঁজ করে মেয়েকে না পেয়ে মেয়ের মা সখীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেই জিডির সূত্র ধরে পুলিশ নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা থেকে ওই মেয়েকে উদ্ধার করে।

থানায় থাকা অবস্থায় মেয়েটি সোমবার সন্ধ্যায় বলে, ‘লোকটি আমার ফুপা হয়। আমাকে নিয়ে যাওয়ার প্রথম ১৫দিন আমি কীভাবে কোথায় গিয়েছিলাম এসব আমার মনে পড়ছে না। মনে হয় আমাকে যাদুটোনা (তাবিজ-কবজ) করে নিয়েছিল।

এইটুকু আমার মনে আছে যে, মাস দুয়েক আগে একজন হুজুর আমাদের বিয়ে পড়ায়।’ ফুপাকে কেন বিয়ে করলে- এ ধরনের প্রশ্নে মেয়েটি বলে, ‘আমি এগুলো কিছুই বুঝতে পারিনি।

মানিক খান বলে, ‘আমি অপহরণ ও ধর্ষণ কিছুই করিনি। মেয়ের ইচ্ছাতে তাকে নিয়ে নেত্রকোনা গ্রামের বাড়িতে নিয়েছি। বিয়ে করেছি। মেয়েটির ফুফু আমার চেয়ে ১০ বছরের বড় থাকায় দাম্পত্য জীবনে আমরা সুখী ছিলাম না।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, মেয়েটির মা মানিক খানের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেছে। মানিককে আজ মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Bootstrap Image Preview