Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গ্রীন লাইফে ২ দিনে ডেঙ্গু রোগীর বিল ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০১৯, ০৬:৩৭ PM
আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৯, ০৬:৩৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত রবিবার রহিমা বেগম নামে এক নারী রাজধানীর গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে দুদিন চিকিৎসার পর আজ মঙ্গলবার তিনি মারা যান। এই দুই দিনে রহিমার চিকিৎসা বিল দেখানো হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার ৭০৯ টাকা। এর মধ্যে শুধু ওষুধের পেছনেই খরচ হয়েছে ৬৮ হাজার ৯৭ টাকা। 

এ ছাড়া এই সময়ের মধ্যে দুইজন চিকিৎসক মোট তিন বার রোগীকে দেখেছেন (অধ্যাপক ফখরুন্নেসা দুই বার ও অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী হোসাইন এক বার)। এজন্য বিল করা হয়েছে সাড়ে সাত হাজার টাকা।

এ ছাড়া রয়েছে আইসিইউ, এইচডিইউ ইত্যাদি ও কয়েকটি টেস্টের বিল। রোগী মারা যাওয়ার পর তার স্বজনদের হাতে এই দীর্ঘ বিলের তালিকা তুলে দেওয়া হয়।

এদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে গ্রীন লাইফ হাসপাতালে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সংস্থাটির এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গ্রীন লাইফের বিরুদ্ধে ডেঙ্গু টেস্টে সরকার নির্ধারিত ফির বেশি টাকা নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন তারা।

নির্ধারিত মূল্যের বেশি অর্থ নেওয়ায় আগামীকাল বুধবার শুনানির জন্য গ্রীন লাইফ কর্তৃপক্ষকে ডাকা হয়েছে।

এর আগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ফিরোজ কবির স্বাধীন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান।

এই হাসপাতালে মাত্র ২২ ঘণ্টা চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে হাসপাতালের বিল আসে এক লাখ ৮৪ হাজার ৪৭৪ টাকা। এত টাকা বিল আসার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

এরই মাঝে গতকাল সোমবার এ বিলের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায় স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তির প্রথম দিনেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা ও ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয়ে থাকে। ফিরোজের ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে। এ কারণেই আপাতদৃষ্টিতে অল্প সময়ে বিলের পরিমাণ বেশি বলে মনে হয়েছে।

এদিকে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ রক্ত পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডের ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টারের কনসালটেন্ট প্রফেসর (অবসরপ্রাপ্ত) কর্নেল মো. মনিরুজ্জামানসহ চার জনের বিরুদ্ধে আজ মঙ্গলবার মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী আইনজীবী।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী গত ২৫ জুলাই প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে ধানমন্ডি সাতমসজিদ রোডের ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টারে ডেঙ্গু শনাক্তকরণে রক্তের ডেঙ্গু এনএসআই এজি ও সিবিসি পরীক্ষা করতে দেন।

পরদিন ২৬ জুলাই রিপোর্ট সংগ্রহ করে দেখতে পান রক্তের প্লাটিলেট লেভেল সাত লাখ ৮৪ হাজার সিএমএম। প্লাটিলেট লেভেল স্বাভাবিক থেকে অনেক বেশি হওয়ায় বাদী ভেঙে পড়েন।

পরে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ওইদিনই ধানমন্ডিস্থ বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রক্তের সিবিসি পরীক্ষা করান। সেখানকার রিপোর্টে রক্তের প্লাটিলেট লেভেল দুই লাখ আসে যা ছিল স্বাভাবিক লেভেল।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ইবনে সিনার প্রতারণামূলক ভুল রিপোর্টের ভিত্তিতে বাদী ওষুধ সেবন করলে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতেন এবং জীবননাশেরও সম্ভাবনা ছিল।

Bootstrap Image Preview