Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নিজেদের লোককেই বাঁচাতে পারে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়: হাইকোর্ট

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০১৯, ০৬:৩০ PM
আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৯, ০৬:৩০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিজেদের লোককেই বাঁচাতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর যৌথ বেঞ্চ এ কথা বলেন। পাশাপাশি মশা মারার কার্যকর ওষুধ বিদেশ থেকে কবে ও কিভাবে আসবে, তা আগামী বৃহস্পতিবারের (১ আগস্ট) মধ্যে জানাতে দুই সিটি করপোরেশন ও রাষ্ট্রপক্ষকে এ আদেশ দেন।

জানা যায়, গতকাল সোমবার (২৯ জুলাই) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. নুরুল আমিনের ডেঙ্গু আক্রান্ত স্ত্রী ফারজানা হক।

এ প্রসঙ্গ টেনে আদালত বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কী করে? তারা নিজেদের লোককেই বাঁচাতে পারে না!

এর আগে ২৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) মশা মারতে এবার সমন্বিত (কম্বাইন্ড) অভিযান চালানোর কথা আদালতকে জানিয়েছিলো ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আইনজীবী। ওইদিন আদালত পরবর্তী আদেশের জন্য মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দিন ঠিক করেছিলেন।

আদালতে ঢাকা উত্তর সিটির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু ও দক্ষিণ সিটির পক্ষে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

এর আগে, আদালতের তলবে ২৫ জুলাই হাজির হয়েছিলেন ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

গত ২২ জুলাই তাদের তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। এর আগে ১৪ জুলাই এক আদেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের বাহক এডিস মশা নির্মূল ও ধ্বংসের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বিস্তার রোধে পদক্ষেপ নিতে ডিএসসিসি ও ডিএসসিসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ২২ জুলাইয়ের (সোমবার) মধ্যে এ বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপ আদালতকে জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়।

সে অনুযায়ী ২২ জুলাই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। কিন্তু প্রতিবেদন দেখে সন্তুষ্ট হতে পারেননি আদালত। এরপর ২৫ জুলাই এই দুই কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেন আদালত।

তার আগে এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসার পর ১৪ জুলাই (রোববার) রুলসহ আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

রুলে এডিস মশা নির্মূলে ও ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ এরকম রোগ ছড়ানো বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না এবং এ ধরনের রোগ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র, দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সচিব, এলজিআরডি সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

Bootstrap Image Preview