বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মন্দিরের মধ্যে গণধর্ষণের পর সেখানেই পুড়িয়ে মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৩ জুলাই) উত্তরপ্রদেশের সম্বলের পাঠকপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশকে ফোন করেও কোনো সাহায্য পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কর্মসূত্রে দিল্লির গাজিয়াবাদে থাকেন নির্যাতিতার স্বামী। দুই সন্তানকে নিয়ে সম্বলের পাঠকপুর গ্রামে থাকতেন ঐ নারী।
বাড়ির কাজ শেষ করে গত শনিবার রাতে ছোট মেয়েকে নিয়ে ঘুমাতে গিয়েছিলেন তিনি। ঘুমিয়ে পরার পর জোর করে বাড়িতে ঢুকে পাঁচজন যুবক। অপহরণ করে গ্রামেরই এক মন্দিরে নিয়ে যায় তাকে। সেখানেই তাকে গণধর্ষণ করে পাঁচজন।
এরপর ঐ মন্দিরে আটকে রেখে বাইরে চলে আসে তারা। বাইরে থেকে আগুন লাগিয়ে দেয় যুবকেরা। মন্দিরের ভেতরে জীবন্ত অবস্থায় পুড়ে মৃত্যু হয় তার।
পুলিশকে ১০০ নম্বরে বারবার ফোন করা হয়। তা সত্ত্বেও ঐ মহিলা কোনো সাহায্য পাননি বলেও অভিযোগ। এই ঘটনার পর খবর দেওয়া হলে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশের দাবি, ময়নাতদন্ত রিপোর্টেও মিলেছে গণধর্ষণের প্রমাণ।
রাজপুরা থানার পুলিশ কর্মকর্তা অরুণ কুমার বলেন, আরাম সিং, মহাবীর, চরণ সিং, গুল্লু ও কুমার পাল নামে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।