Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

১৩ বছরের ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, শিক্ষিকার ২০ বছরের কারাদণ্ড

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০১৯, ০৯:৩৬ PM
আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৯, ১০:০৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের একটি স্কুলের ১৩ বছর বয়সী এক ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন ২৮ বছর বয়সী শিক্ষিকা। আদালতের কাছে এই স্বীকারোক্তির পর ঐ শিক্ষিকার ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) অ্যারিজোনা রিপাবলিক আদালতে শুনানিতে অংশ নিয়ে ব্রিটানি বলেন, আমি একজন ভালো এবং খাঁটি মানুষ। একটি ভুল করেছি এবং এর জন্য গভীরভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।

অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের গুডইয়ারের বাসিন্দা ওই শিক্ষিকার নাম ব্রিটানি জামোরা (২৮)। শিক্ষার্থীর সঙ্গে দৈহিক মিলনে অভিযুক্ত এই শিক্ষিকাকে প্রায় ১ বছর ৫ মাস আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

ব্রিটানি আরও বলেন, আমার জীবনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিয়েই বেঁচে আছি এবং প্রত্যেকটি আইন মেনে চলার চেষ্টা করি। আমি কোনোভাবেই সমাজের জন্য হুমকি নই।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, তিনি কারাগারে থেকেই নতুন একটি ডিগ্রি নেয়ার পরিকল্পনা করেছেন। যাতে কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি একটি নতুন জীবন শুরু করতে পারেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বলছে, জামোরা অ্যারিজোনার লাস ব্রিসাস অ্যাকাডেমি সিক্স গ্রেডের শিক্ষিকা ছিলেন। ২০১৮ সালের মার্চে তাকে গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশ। শ্রেণিকক্ষে ১৩ বছর বয়সী এক ছাত্রের সঙ্গে অনেকবার তিনি যৌন মিলনে লিপ্ত হন। এছাড়া স্কুলের এক অনুষ্ঠানে অপর এক শিক্ষার্থীর সামনে ওই কিশোরের সঙ্গেই শারীরিক সম্পর্ক করেন তিনি।

তার এই কাণ্ড ধরা পড়ে ঐ শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের এক কৌশলে। তারা ছেলের মোবাইল ফোনে সেন্ট্রি প্যারেন্টাল কন্ট্রোল নামের একটি অ্যাপ ইন্সটল করে দেন। কারো সঙ্গে অসদাচরণ কিংবা আপত্তিকর ছবি অথবা ভিডিও পাঠালে সঙ্গে সঙ্গে বাবা-মায়ের মোবাইল নাম্বারে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দেয় বিশেষ এই অ্যাপ।

ঐ শিক্ষার্থীর মোবাইলে আপত্তিকর ছবি শনাক্ত করার পর অ্যাপটি তার বাবা-মাকে সতর্ক করে দেয়। এই সতর্কবার্তা পাওয়ার পর তারা ছেলের কাছে সেই ছবির ব্যাপারে জানতে চান। তখন ১৩ বছর বয়সী ঐ শিক্ষার্থী তার শিক্ষিকা জামোরার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে বাবা-মায়ের কাছে। পরে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের সঙ্গে অনৈতিক আচরণের অভিযোগ এনে ঐ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন শিক্ষার্থীর বাবা।   

 

Bootstrap Image Preview