ভারতের চেন্নাইয়ে অবনীশ প্যাটেল (১৯) নামে এক তরুণ সমকামী ছিলেন। সমকামীতার জন্য পরিবার ও আশপাশের মানুষের কাছ থেকে অনেক কথা শুনতে হতো। এই যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। আত্মহত্যা করার আগে তিনি ফেসবুকে লিখে গেছেন নিজের যন্ত্রণার কাহিনী।
সোমবার (৮ জুলাই) রাত থেকে অবনীশের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এ বিষয়ে তার বাবা-মা পুলিশে অভিযোগ করেন। পুলিশ অনুসন্ধানে নামার আগে অবনীশের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দেখে। আর সেখান থেকেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়। কয়েকদিন আগে ফেসবুকে একবার হিন্দি ও একবার ইংরেজিতে দুটি পোস্ট লিখেছিলেন অবনীশ।
ফেসবুকে হিন্দিতে অবনীশ লিখেছিলেন, আমি একজন ছেলে। সবাই সেটা জানে। কিন্তু আমার হাঁটা-চলা, চিন্তা-ভাবনা, কথা বলা সব মেয়েদের মতো। এটা এমন জিনিস যা ভারতের মানুষ বুঝবে না।
পরে ইংরেজিতে তিনি আবার লিখেন, যেসব দেশ সমকামী ও রুপান্তরকামীদের সম্মান দেয়, সেসব দেশের প্রতি আমি গর্বিত। ভারতেও যেসব মানুষ আমাদের সমর্থন করেন, তাদের প্রতি আমি গর্বিত। আমি সমকামী, এটা আমার অপরাধ নয়। এটা ভগবানের ভুল। আমি আমার জীবনকে ঘৃণা করি।
পুলিশ ফেসবুকের ওই পোস্ট দেখার পরেই অবনীশের সন্ধান শুরু করে। সে সময় পুলিশ খবর পায়, ইঞ্জামবক্কমের সৈকতে একটা মরদেহ ভেসে এসেছে। বাবা-মা মরদেহটি অবনীশের বলে শনাক্ত করেন।
এটি যে আত্মহত্যা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
কিন্তু কয়েকদিন আগে ফেসবুকে এসব কথা লেখার পরেও অবনীশের পরিবারের লোক কিংবা তার বন্ধু-বান্ধবরা কেউ বিষয়টা কেন গুরুত্ব দিয়ে দেখলেন না, এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে পুলিশ।