Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যারা টেন্ডার নিয়েছেন সন্ত্রাসীদের জন্য তারা কাজ করতে পারছে না

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ জুলাই ২০১৯, ১০:৫২ AM
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৯, ১০:৫২ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


সরকারি দলের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, তিন বছর ধরে একটা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যারা টেন্ডার নিয়েছেন সন্ত্রাসীদের জন্য তারা কাজ করতে পারছে না। 

রবিবার (৭ জুলাই) দিবাগত রাতে সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের নখ এবং দাঁত কতটুক বড়। চাঁদাবাজদের হাত কতটুক বড়? সেখানে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ লাখ চাঁদা আদায় হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘আসলে সন্ত্রাসীদের এই শক্তির উৎস কোথায়? ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জিডি করেছে, তারা কাজ শুরু করতে পারছে না। আমি লজ্জিত, কিছু করতে পারছি না বলে।

নারায়নগঞ্জ-৪ আসনের এমপি বলেন, ‘বেশ কয়েকটি পত্রিকায় খবর উঠেছে শামীম ওসমানের এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজী। আমি সব সময় সত্য কথা বলার চেষ্টা করি। যেটা অন্যায় যেটা মিথ্যা, অসততার প্রতিবাদ করি। সত্যের পক্ষে কথা বলি। যে ঘটনা নিয়ে কথা বলা হয়েছে সেই ঘটনা সত্য।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নের জন্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যায়ে সরকারি অফিসারদের কোয়ার্টার নির্মাণ করছে। চার বছর আগে ওই কাজের টেন্ডার হয়েছে, সবকিছু সম্পূর্ণ হয়ে গেছে এবং পূর্বের গণপূর্ত মন্ত্রী থাকা অবস্থায় ওখানে একটি খেলার মাঠ করার দাবি উঠেছিল।

তৎকালীন মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম খেলার মাঠ রাখার জন্য। পরে সেই দাবি রেখেছেন।

ইতিমধ্যে খেলার মাঠের জন্য ১২ কোটি টাকা অনুদানও দিয়েছেন। কিন্তু লক্ষ্য করা গেছে বিআইডব্লিউটিএ যে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করেছিল সেখানে একটি চাঁদাবাজ গোষ্ঠী চাঁদা আদায় করছে। ওয়কাওয়েটা পুরো ভেঙে ফেলা হয়েছে।

সেখানে মাল লোড-আন লোড করছে। সেখানে শ্রমিকদের কাছে থেকে দুই একটা টাকা করে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে খেলার মাঠের নাম করে। ওখানে তিন বছর ধরে একটা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে যারা টেন্ডার নিয়েছেন তারা কাজ করতে পারছে না সন্ত্রাসীদের জন্য।

শামীম ওসমান বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের নখ এবং দাঁত কতটুক বড়। চাঁদাবাজদের হাত কতটুক বড়? সেখানে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ লাখ চাঁদা আদায় হয়। আসলে সন্ত্রাসীদের এই শক্তির উৎস কোথায়? পাঁচ লাখ টাকা ভাগ হয়ে যাচ্ছে।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জিডি করেছে, তারা কাজ শুরু করতে পারছে না। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় মামলা করেছে। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। আমি লজ্জিত কিছু করতে পারছি না বলে। এই জন্য বললাম যে ওই চাঁদাবাজীর পক্ষে আমার সমর্থন নাই। তাই মন্ত্রীকে অনুরোধ করব অতিদ্রুত এই বদনাম থেকে রক্ষা করুন এবং চাঁদাবাজ যত বড় শক্তিই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’

Bootstrap Image Preview