Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মিলাদের তবারক খেয়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু, হাসপাতালে ৪০ জন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০১৯, ০৮:৩৭ PM
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৯, ০৮:৩৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


পাবনায় মিলাদের তবারক (খিচুড়ি) খেয়ে সুখী খাতুন (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় শিশু ও নারীসহ গুরুতর অসুস্থ ৪০ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের জনৈক শহীদ সর্দারের বাড়িতে তার বাবা মৃত ঈমান আলী সর্দারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া মিলাদের তবারক (খিচুড়ি) খেয়ে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত সুখী খাতুন সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের সেলিম শেখের মেয়ে ও শহরের আহমেদ রফিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা হলেন- রিপন সেখ (৪৫), রফিক (৪৫), রুকাইয়া (৬), মনিরা (১৪), মেহেরাপ (১১), রাত্রি (০৮), রুহান (৬), সাবিনা খাতুন (২৮), মাহির (৪), সিয়াম (১৪), স্বপ্না (৩০), জামিল (১১ মাস), আলামিন (১৭), বিল্লাল সর্দার (৬০), শান্ত (১৮), মমিন (৩০), আলেয়া (৫৫), আয়শা (৫৬), মুন্নী (১৪), লামিয়া (৫), মাহিম(১২), অনিষা (১২), দীপক সাহা (৫৯), রেশমী (৩০), স্বপন (২৩), শারমিন (১৯), মকছেদ (২০), মানু (১৭), জিসান (৩০), মাহিন (১৩), রোহানা (৩৮), ছিয়াম (১০), ইয়াসমিন (২০), কাকলী (১৩), সুফিয়া (৪৫), লতা (২৫), মুসাব্বির (১৪), কামরুন্নাহার (৬০), সাজু (১৬) ও সুরুজ (৭০)।

এলাকাবাসী জানান, শুক্রবার বিকেলে বলরামপুর গ্রামের শহীদ সর্দারের বাড়িতে তার বাবা ঈমান আলীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদের আয়োজন করা হয়। এতে তবারক হিসেবে খিচুড়ি পরিবেশন করা হয়। ওই খিচুড়ি খেয়ে বলরামপুর গ্রামের নারী-পুরুষ অনেকেই ওই দিন সন্ধ্যা থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা বাড়িতেই চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু শনিবার রাত থেকে আক্রান্তদের অবস্থা গুরুতর হলে তাদেরকে একে এক পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার সকাল পর্যন্ত অন্তত ৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার সকালে হাসপাতালে নেয়ার পথে সুখী খাতুনের মৃত্যু হয়।

অসুস্থ রিপন সেখ জানান, শুক্রবার বিকেলে তার বড় চাচা ঈমান আলীর মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদের তাবারক খাওয়ার পর পরই তিনিসহ অন্যরা অসুস্থ হয়ে পড়েন।

একই গ্রামের অসুস্থ শিশু মাহিমের বাবা সাকের জানান, ছেলে খিচুড়ি খেয়ে বাড়িতে এসেই বমি শুরু করে। প্রথমে তাকে বাড়িতেই চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। অন্য অসুস্থরাও একই কথা জানিয়েছেন।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. হাবিবুল্লাহ জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণেই তারা অসুস্থ হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

হাসপাতালের আরএমও ডা. আকসাদ আল মাসুর আনন একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালের চিকিৎসকরা অসুস্থদের সুস্থ করে তুলতে চেষ্টা করছেন। আশা করি, সবাই সুস্থ হয়ে উঠবেন।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview