Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রাথমিকে বায়োমেট্রিক হাজিরা: ১৫ হাজারের মেশিন কিনতে বিল ৩০ হাজার টাকা!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০১৯, ০৬:২৮ PM
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৯, ০৭:১৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কর্মরত শিক্ষকদের বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয়ের নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার পায়তারা চলছে। মেশিন ক্রয়ের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের স্বমন্বয়ে ক্রয় কমিটিও গঠন করা হয়।

কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে এ মেশিন কেনার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮/১৯ অর্থ বছরে স্কুল লেভের ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান (স্লিপ) এর আওতায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা করে উপজেলার ১৭৭টি বিদ্যালয়ে জন্য ১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দকৃত টাকা বিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও জমা হয়েছে।

এ বরাদ্দ থেকে প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়। মেশিন কিনতে ১০-১৫ হাজার টাকার খরচ হলেও প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে মেশিন ক্রয় বাবদ ৩০ হাজার জমা দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে ময়মনসিংহ জেলা ও গৌরীপুর উপজেলা শহরের ইলেকট্রনিক্সের দোকানে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে বায়োমেট্রিক মেশিনের মূল্য সর্বনিন্ম ৬হাজার ৫শ টাকা, মাঝারিটা ৮হাজার টাকা ও সর্বোচ্চটার মূল্য ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা।

চান্দের সাটিয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন বিনতে সুলতানা বলেন, শিক্ষা অফিস থেকে বায়োমেট্রিক মেশিন ক্রয়ের জন্য স্লিপ এর টাকা থেকে ৩০ হাজার হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। আমরা ব্যাংকে টাকা রেখে দিয়েছি। তবে শোনেছি বাজারে এর চেয়ে কম মূল্যে মেশিন পাওয়া যায়।

জাগরণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত টাকায় আমরা সিদ্ধান্ত নিবো কোথায় থেকে মেশিন কিনবো। শিক্ষা অফিসে এক টাকাও দেয়া হবে না।

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম খান জানান, জেলা শিক্ষা অফিসারকে সভাপতি ও সকল উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে সদস্য করে ক্রয় কমিটি করা হয়েছিলো। এখন যেহেতু বায়োমেট্রিক মেশিন নিয়ে নানা কথা চলছে, তাই কে ক্রয় করবে সেটা এই মুর্হূতে বলতে পারছি না।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, জেলা কমিটি যে প্রক্রিয়ায় বায়োমেট্রিক মেশিন ক্রয় করার চেষ্টা করছে সেটা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত টাকায় ম্যানেজিং কমিটিই মেশিন ক্রয় করবে।

Bootstrap Image Preview