ময়মনসিংহের নান্দাইলে এক মাদ্রাসাছাত্রকে শরীর টেপানোর কথা বলে জোরপূর্বক বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম (৪০) উপজেলার মুশুলী ইউনিয়নের চপই ফিরোজা বানু হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানায়র প্রধান শিক্ষক।
এ ঘটনায় নান্দাইল মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ঐ ছাত্রের বাবা।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ রবিউল ইসলাম শরীর টেপানোর কথা বলে ছাত্রকে রাতে তার কক্ষে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাকে ৮/৯ দিন বলাৎকার করে। একপর্যায়ে ঐ ছাত্র যৌন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করলে তার মুখে বালিশ চেপে ধরে প্রধান শিক্ষক রবিউল এবং বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ছাত্রকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
গত বুধবার ছাত্র এমন অমানিবক যৌন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাড়িতে চলে গিয়ে ঘটনাটি তার বাবাকে জানান। সে কান্নাস্বরে আরও জানায় উক্ত প্রধান শিক্ষক প্রতি রাতেই মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে এরকম অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে থাকে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার এক শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক প্রায়ই ছাত্রদের সাথে এরকম করে থাকেন।
এ বিষয়ে ছাত্রের বাবা জানান, বিষয়টি লজ্জাজনক হওয়ায় স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করলে একটি চক্রের কারনে ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব হয়নি।
ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা এরকম নরপশুদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করেন ছাত্রের পরিবার।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (উপ-পরিদর্শক) মো. লিটন মিয়া জানান, এই ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং ছাত্রটির মেডিকেল টেস্ট করানোর জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।