Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বগুড়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের মাঠ ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩ জুলাই ২০১৯, ০৬:৪৪ PM
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৯, ০৬:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সোনাহাটা উচ্চ বিদ্যালয় ও সোনাহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে খেলার মাঠ ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ২টি বিদ্যালয়ের মাঠ বার্ষিক ১৫হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে সেখানে সপ্তাহের শনি ও বুধবার হাট বসান। হাটে আগত লোকজনের কোলাহলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনাহাটা সরকারি হাট এ বছর উপজেলা পরিষদ থেকে ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকায় বার্ষিক ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। হাটের জায়গা কম থাকায় ইজারাদার ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বছরে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে শনিবার ও বুধবার সকালে থেকে বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসান।

বুধবার সরেজমিন সোনাহাটা হাটে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের উত্তর পাশে সোনাহাটা উচ্চ বিদ্যালয় এবং দক্ষিন পাশে সোনাহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেই মাঠ জুড়ে ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়েছে।

ক্রেতারা দরদাম করে জিনিসপত্র কিনছেন। দুটি বিদ্যালয়ে এসময় পাঠদান দেওয়া হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের শোরগোলে শ্রেনীকক্ষে শিক্ষকেরা কী পড়াচ্ছেন, তা শিক্ষার্থীদের বোঝার উপায় নেই। শিক্ষার্থীদেরও পাঠে মনোযোগ নেই।

সোনাহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, শিপলুর রহমান ও ওমর ফারুক জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সপ্তাহে ২দিন হাটবারে হকারদের মাইকের বিকট শব্দে তারা ক্লাশে শিক্ষকের কথা বোঝেন না।

এই দুইদিন মাঠে খেলাধুলার কোন সুযোগ থাকে না। এছাড়াও হাটের কারনে অতিরিক্ত মানুষের চাপ থাকায় প্রায়ই তাদের সাইকেল চুরি হয়।

সোনাহাটা হাটের ইজারাদার আব্দুল হাকিম বলেন, হাটের জায়গা কম হওয়ায় ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা উপকরণ ও খেলাধুলার সরঞ্জামাদি ক্রয়ের জন্য ২ প্রধান শিক্ষককে বছরে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে মাঠে হাট বসানো হয়।

সোনাহাটা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শফিউল ইসলাম বলেন, মাঠে হাট বসায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান চরম ভাবে বিঘœ ঘটে। ইজারাদারকে মাঠ থেকে হাট অপসারনের তাগিদ দিয়ে কোন কাজ হয় না। ইজারাদারের নিকট থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে কোন প্রকার আর্থিক সুবিধা নেওয়া হয় না।

সোনাহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে এম হাসান মনসুর বলেন, ইজারাদার জোর করেই বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে হাট বসায়। হাটবারে বৃষ্টি নামলে বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ ক্রেতাবিক্রেতারা দখলে নেয়। এতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হয়। হাটের ইজারাদারের নিকট থেকে আর্থিক সুবিধা নেওয়া হয়না।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের হাট অপসারনের জন্য প্রধান শিক্ষককে লিখিতভাবে জাননো হয়েছে। কিন্ত প্রধান শিক্ষক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ধুনট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম জিন্নাহ বলেন, বিদ্যালয় মাঠে হাট না বসানোর ব্যবস্থা করতে প্রধান শিক্ষককে বার বার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

Bootstrap Image Preview