Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মাত্রাতিরিক্ত ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে ইরান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০১৯, ১১:০৯ AM
আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৯, ১১:০৯ AM

bdmorning Image Preview


পারমাণবিক চুক্তি অনুযায়ী যতটুকু ইউরেনিয়াম মজুদ করার কথা ছিল, তার চেয়ে বেশি ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে ইরান। এর মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল, সেটির স্পষ্ট লঙ্ঘন করা হলো।

গতকাল ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আইএসএনএ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। খবর বিবিসি। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ৩০০ কেজি ইউরেনিয়াম মজুদের যে মাত্রা রয়েছে, সেটি অতিক্রম করেছে।

তবে শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করবে। ইরান বলছে, তারা ইউরেনিয়ম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বাড়িয়েছে-এর মূল লক্ষ্য হলো জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রকে মোকাবিলা করবে। এদিকে চুক্তি ভঙ্গ করা হলে এর পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে চুক্তিবদ্ধ ইউরোপীয় দেশগুলো।

আইএইএ তাদের প্রতিবেদনে যদি নিশ্চিত করে যে, ইরান তাদের চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, তাহলে তেহরানের ওপর থেকে প্রত্যাহার করা নিষেধাজ্ঞাগুলো আবারও আরোপ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, আমি আগেই এ বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেই ঘোষণার ভিত্তিতে ইরান ৩০০ কেজি ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে। গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় বিকালে এ কথা বলেন তিনি।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা পরিষ্কার বলতে চাই-আমরা কী করছি এবং কী করতে চাই। আমরা মনে করি, এটি আমাদের অধিকার। এদিকে আইএইএ পরিদর্শকরা গতকাল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সূচক পরিমাপ করেছে, এতে তারা নিশ্চিত করেছে যে অনুমোদিত মাত্রা অতিক্রম করেছে। ইরানের তরফ থেকে পারমাণবিক চুক্তির খবরটি এমন সময় এলো, যখন মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-মার্কিন উত্তেজনা চলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন ইরান ভূপাতিত করার পর উত্তেজনা প্রায় যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে মোড় নেয়। এদিকে বিবিসির প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রতিবেদক জোনাথ মারকোস মনে করেন, ইরান ধাপে ধাপে ইউরেনিয়াম মজুদ বৃদ্ধি করছে, যেন ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছ থেকে সহায়তা আদায় করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে মোকাবিলা করা যায়। কিন্তু কম বিশ্লেষকই মনে করেন যে, এ ক্ষেত্রে ইউরোপীয় দেশগুলো সহায়তা করতে পারবে।

২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিতে ইরানকে পরিমিত মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অনুমতি দেওয়া হয়। এর বিনিময়ে ইরানের ওপর থেকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এসে ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন এবং নজিরবিহীন কঠোর অবরোধ আরোপ করেন।

Bootstrap Image Preview