ইরানের তেল আমদানি করলে যে কোনো দেশকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। এ ব্যাপারে কোনোরকম ছাড়ও দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আমরা ইরানের অশোধিত তেলের যে কোনো আমদানির ওপরই নিষেধাজ্ঞা দেব। চীনে ইরানের অশোধিত তেল বিক্রির খবর যুক্তরাষ্ট্র খতিয়ে দেখবে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ইরান বিষয়ক বিশেষ দূত ব্রায়ান হুক এ কথা বলেন। এশিয়ায় ইরানের অশোধিত তেল বিক্রি নিয়ে লন্ডনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হুক একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ইরানের অশোধিত তেল অবৈধভাবে কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেব।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সোমবারই ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটিকে চাপে রাখার নজিরবিহীন পদক্ষেপ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) ইরান ভূপাতিত করার পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর জেরে ওই পদক্ষেপ নেন। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ‘সরকার শত্রুতামূলক আচরণ করছে’ দাবি করে এর জন্য খামেনিকে দায়ী করেছেন ট্রাম্প।
গত বছর ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাওয়ার পর তেহরানের ওপর পুরোনো সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করাসহ নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পর থেকেই ওয়াশিংটন-তেহরান সংকটে নতুন উত্তেজনা শুরু হয়।