Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মুরসিকে নিয়ে নতুন তথ্য ফাঁস করলেন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. আবদুল কাদির

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০১৯, ০৩:২১ PM
আপডেট: ২৩ জুন ২০১৯, ০৩:২১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


মিসরে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের অভ্যুত্থানের নেপথ্যের কারণ জানিয়েছেন পাকিস্তানি বিখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. আবদুল কাদির খান। তিনি বলেছেন, এই অভ্যুত্থানের নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ছাড়াও অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মিডল ইস্ট মনিটরের খবরে এসব তথ্য জানা গেছে।

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একটি পোস্টে তিনি বলেছেন, ক্ষমতায় আসার পর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি রাশিয়া, ভারত ও পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে ইউরেনিয়ামসমৃদ্ধ মিসরীয় পরমাণু চুল্লি ফের চালু করতে রাশিয়ার সঙ্গে একমত হয়েছিলেন তিনি, যেটা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।

‌‘একই উদ্দেশ্যে তিনি আরো একটি পরমাণু চুল্লি প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়েছিলেন। যেটা বছর তিনেক পর গ্রহণ করার কথা ছিল মিসরের।’

পাকিস্তানের পরমাণু বিজ্ঞানের জনক আবদুল কাদির খান বলেছেন, মিসর নিয়ে কথা না-বলাই আমার জন্য ভালো ছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্ট মুরসির ভাগ্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আসল সত্যটি মিসরীয়দের জানা উচিত বলে মনে করি।

‘মিসরীয়রা কি জানেন, তাদের সাবেক প্রেসিডেন্টের এই সফর পশ্চিমাদের জন্য বড় আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল?’

তিনি বলেন, মিসরের বৈদ্যুতিক সংকটের একটা স্থায়ী সমাধান হওয়া উচিত ছিল। পাশাপাশি আফ্রিকা মহাদেশ আলোকিত করতে যথেষ্ট বিদ্যুৎ রফতানি করতে পারতো দেশটি।

‘মিসরীয়দের জানা উচিত, প্রেসিডেন্ট মুরসির শাসনকালে জার্মানির কাছ থেকে দুটি ডুবোজাহাজ পেয়েছিল মিসর। কিন্তু এ ধরনের ডুবোজাহাজ প্রতিবেশী দেশে হস্তান্তরে জার্মানিকে নিবৃত্ত করতে চেয়েছিল ইসরাইল। কারণ মিসরের কাছে সঠিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকলে এই ডুবোজাহাজ দিয়ে রণতরীতে আঘাত হানা সম্ভব।’

গত মার্চে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়েছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু স্বীকার করেছেন, তিনি জার্মানি ও মিসরের মধ্যের এই ক্রয়চুক্তিকে অনুমোদন দিয়েছিলেন। কিন্তু কেন তিনি সেটা করেছেন, তা গোপন রাখলেন। তার দাবি, এটা রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা।

এ বিষয়ে আবদুল কাদির খানের ব্যাখ্যা, মিসরের একটি সামরিক উপগ্রহের মালিক হওয়ার গুরুত্ব দেশটির বহু নাগরিক অনুধাবন করতে পারছেন না। এমন উপগ্রহ দিয়ে ইসরাইলে ব্যাপক নজরদারি চালানো সম্ভব।

তিনি বলেছেন, ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সঙ্গে এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছিলেন মুরসি। কাজেই যদি ২০১৩ সালের অভ্যুত্থান না ঘটতো তাহলে ইতিমধ্যে এমন একটি উপগ্রহের মালিক হয়ে যেতেন মিসরীয়রা।

এই পাক পরমাণু বিজ্ঞানী বলেন, এ কথা অনেকেই জানেন না যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মুরসি বলেছেন- মিসরের ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োজন। এজন্য একটি চুক্তি সইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজি হয়েছিল রাশিয়া। এ বিষয়ে আলোচনা করতে আল-তারাজ নামের এক মেজর জেনারেলকে পাঠিয়েছিলেন মুরসি। কিন্তু দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর মার্কিন চাপে তা ভেস্তে যায়।

Bootstrap Image Preview