Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কারাগারে সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ জুন ২০১৯, ০৩:০৬ PM
আপডেট: ২০ জুন ২০১৯, ০৩:০৬ PM

bdmorning Image Preview


সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে বগুড়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক এ রায় দেন।

এসময় বগুড়া বারের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আল মাহমুদ, নরেশ মুখার্জী, অ্যাডভোকেট হেলালুদ্দিন তার পক্ষে জামিন আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল কালাম আজাদ।
 
পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।দুদকের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানান।
 
এর আগে ২০১৭ সালের মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে আদমদীঘি থানায় পাটকলের প্রায় আড়াই একর জমি দরপত্র ছাড়াই বিক্রির মাধ্যমে সরকারের প্রায় ৪০ লাখ ৭০ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ এনে সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
 
মামলার অপর আসামি হলেন- ওই জমির ক্রেতা বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া এলাকার মৃত হারুন-অর-রশিদের স্ত্রী জাহানারা রশিদ। 
 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের সুরুজ মল আগরওয়ালা (বিলুপ্ত) জায়গা জাহানারা রশিদ নামে এক নারী ২০১০ সালের ১৩ মে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় থেকে তিন বছরের জন্য প্রতিবছর এক লাখ ২০ হাজার টাকায় লিজ নেন। জায়গার পরিমাণ ২ একর ৩৮ শতাংশ। কিন্তুতাকে এক বছর ভাড়া দেওয়ার নির্দেশ দিলেও ভাড়া না দিয়ে জমিটি কেনার জন্য পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ে ২০১১ সালে ২৩ নভেম্বর আবেদন করে।
 
ওই সম্পত্তি স্থায়ীভাবে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য উম্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করার নিয়ম থাকলেও মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী তার পরিচিতজন হওয়ায় মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তে ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭শ’ ৯৫ টাকায় সম্পত্তি মাত্র ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭শ’ ৭৪ টাকা মূল্যে বিক্রি করায় সরকারের ৪০ লাখ ৬৯ হাজার ২১ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
 
তদন্তে প্রমাণিত ওই পরিমাণ জমি অবৈধভাবে বিক্রির কারণে সরকারের ৪০ লাখ ৭০ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও জাহানারা রশিদকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

Bootstrap Image Preview