Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ শনিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দিদিকে ধীরে ধীরে ব্যাথা দিব: মুকুল রায়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ জুন ২০১৯, ০২:৫৯ PM
আপডেট: ২০ জুন ২০১৯, ০২:৫৯ PM

bdmorning Image Preview


ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের পর জনস্রোতের মতো তৃণমূল কংগ্রেস থেকে নেতাকর্মীদের বিজেপিতে যোগ দেয়ায় তাদের ‘লোভী ও দুর্নীতিগ্রস্ত’ আখ্যা দেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

মঙ্গলবার বনগাঁর তৃণমূল এমপি বিশ্বজিৎ দাস ও ১২ কাউন্সিলর এবং কংগ্রেস মুখপাত্র প্রসেনজিৎ ঘোষ বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়ভারগিয়া ও মমতার এককালের ঘনিষ্ঠ মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন তারা। তবে এসবে মোটেও চিন্তিত নন বলে দাবি করেন মমতা। এনডিটিভি। বিশ্বজিতের সঙ্গেই এদিন দিল্লিতে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন বনগাঁর ১২ জন পুর কাউন্সিলর। একসময়ের প্রিয় দিদিকে তিনি এখন ‘ধীরে ধীরে ব্যথা’ দিতে চান। মঙ্গলবার বিকালে বনগাঁর তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দেয়ার পর তীর্যক হেসে এমনই মন্তব্য করেন ‘দল বদলের কারিগর’ মুকুল রায়। নজরুল মঞ্চে তৃণমূল সুপ্রিমোর এদিনের মন্তব্য নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করেছেন তারই সাবেক প্রধান সেনাপতি মুকুল।

মঙ্গলবার তৃণমূল প্রধান জানান, তার দল ময়লা পরিষ্কার করছে। যাদেরকে ছুড়ে ফেলা হচ্ছে বিজেপি তাদের নিয়ে দল বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্বাসঘাতকদের জায়গা তার দলে নেই এবং তাদের স্থান ‘একনিষ্ঠ কর্মীবাহিনী’ দিয়ে পূরণ করা হবে। এছাড়া দলের মধ্যে থাকা বেইমানদের যত শিগগির সম্ভব বিজেপিতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান মমতা।

মমতা বলেন, ‘অল্প কয়েকজন দুর্নীতিবাজ, লোভী নেতা কোথায় গেল না গেল সেটি নিয়ে আমি মোটেও চিন্তার কিছু দেখছি না। তারা বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন কেননা তাদের মনে ভয় রয়েছে যে তাদেরকে কৃতকর্মের জন্য কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে। ২০২১ সালের রাজ্যসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে আবার ঢেলে সাজানো হবে। একজন বেরিয়ে গেলে সেখানে আরও ৫শ’ জন এসে শূন্যস্থান পূরণ করবে। আমরা চাই এসব লোভীদের জায়গায় নিবেদিতপ্রাণ কর্মী দলে আসুক।’

এদিকে দুই পক্ষের দুই নতুন অধিনায়ক নিয়ে বুধবার নয়া ইনিংস শুরু হল লোকসভার। একদিকে কংগ্রেসের নয়া নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী, অন্যদিকে নতুন স্পিকার ওম বিড়ালা- বিজেপির রাজস্থানের সংসদ সদস্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই এদিন তাকে স্পিকারের আসন পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসেন। পরে সর্বসম্মতভাবে স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার জন্য তাকে অভিনন্দন জানান মোদি। ওদিকে বিরোধী দলনেতার মর্যাদা না পেলেও প্রথমদিনের ভাষণেই কংগ্রেস দলনেতা বুঝিয়ে দিলেন, বিনা যুদ্ধে তিনি ছাড়বেন না। কোনো রকমের আপস করবেন না ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে। রাম আর রহমান দুই-ই তার কাছে সমান। এ দিনের ভাষণে সবারই মন জয় করে নেন অধীর। নতুন স্পিকার ওম বিড়লা এ দিন তার আসনে বসার পরেই সভায় প্রথম বলার সুযোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তার পরেই বলার সুযোগ পান কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। স্পিকার তার নাম ঘোষণা করেন দু’বার।

মোদির সর্বদলীয় বৈঠক বর্জন বিরোধীদের : লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন একই সময়ে আয়োজনে ‘এক দেশ, এক নির্বাচনের’ ধারণা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু বুধবারের ওই বৈঠক বর্জন করেছে বিরোধী দলগুলো। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক দলগুলোর একটিও অংশ নেয়নি তাতে। বৈঠকে যাবেন না বলে মঙ্গলবারই জানিয়ে দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। বুধবার বৈঠক বর্জনের কথা জানান কংগ্রেস নেতারা। এদিন সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেন তারা।

Bootstrap Image Preview