Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পাটক্ষেতে মোয়াজ্জিনের পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা, সাবেক প্রেমিকা গ্রেফতার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০১৯, ০৬:৩৩ PM
আপডেট: ১৯ জুন ২০১৯, ০৬:৪৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের একটি পাটক্ষেতে হাফেজ সোহেল রানা (২৩) নামে মসজিদের এক মোয়াজ্জিনকে কুপিয়ে পুরুষাঙ্গ ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে উপজেলার বানিয়াবহু গ্রামের একটি পাটক্ষেতে এক যুবকের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের কারণ ও রহস্যের সূত্র উদঘাটন করতে সক্ষম হন।

নিহত সোহেল রানা কালীগঞ্জ উপজেলার চাপালী মসজিদের মোয়াজ্জিন এবং কোটচাঁদপুর উপজেলার সাব্দালপুর ইউনিয়নের লক্ষীকুন্ডু গ্রামের জোয়ারদার পাড়ার বখতিয়ার রহমানের ছেলে।

এ সময় ঘটনার সূত্র ধরে পুলিশ ঘাতক দলের জুলিয়া নামের এক নারী সদস্যাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত জুলিয়া ঝিনাইদহ সদরের বাগুটিয়া গ্রামের ঘাতক দলের অপর এক সদস্য রাজুর স্ত্রী। তবে এ ঘটনায় রাজুসহ অপর দুই ঘাতক রাজুর বন্ধু সুমন ও মামাতো ভাই নাজমুল পলাতক রয়েছে।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস জানান, মঙ্গলবার সকালে বানিয়াবহু গ্রামে এক যুবকের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। এ সময় নিহতের পরিবারের লোকজন এসে তার পরিচয় নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।

নিহতের মা রেখা বেগম জানান, তার ছেলে কালীগঞ্জের চাপালি গ্রামের মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে মোয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তবে ঠিক কি কারণে তার সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে তা তিনি জানেন না।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান মঙ্গলবার দুপুরে জানান, নারী ঘটিত কারণে সোহেল রানাকে হত্যা করা হয়েছে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, বিয়ের আগে থেকেই আটককৃত জুলিয়া খাতুনের সাথে নিহত রাজুর দৈহিক সম্পর্ক ছিল। কিন্তু জুলিয়ার বিয়ে হলেও পিছু ছাড়েনি সোহেল রানা। তিনি কোটচাঁদপুর থেকে এসে ওই এলাকায় মসজিদের মোয়াজ্জিনের চাকরিতে যোগ দিয়ে সেখানেই বসবাস শুরু করেন।

অপরদিকে, জুলিয়া তার সাবেক প্রেমিককে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে তার স্বামী রাজুকে সাথে নিয়ে সোহেল রানাকে হত্যার ছক আঁটেন। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক সোমবার (১৭ জুন) সোহেল রানাকে ধরে এনে গলা ও পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা করেন। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে জুলিয়া আদালতে ৬ পাতার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে হত্যার পুরো ঘটনা বর্ণনা করেছেন তিনি।

এছাড়াও ওসি মিজানুর রহমান খান বলেন, খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পেরে ভাল লাগছে।

Bootstrap Image Preview