লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার কিসামত ধওলাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষককে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৬ জুন) রাতে তাকে ধওলাই গাঁওচুলকা এলাকায় তার প্রেমিকার বাড়ি থেকে আটক করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিক্ষক মাসুদ রানাকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
সোমবার (১৭ জুন) মধ্য রাতে প্রেমিকা কলেজ ছাত্রী তার প্রেমিক শিক্ষক মাসুদ রানার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে হাতীবান্ধা থানায় মামলা করেন।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে পুলিশ ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মাসুদ রানাকে জেল-হাজতে প্রেরণ করেন।
শিক্ষক মাসুদ রানাহাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বেজগ্রাম ডাকালিবান্ধা এলাকার তরিফ উদ্দিনের পুত্র ও দুই সন্তানের জনক।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, দুই সন্তানের জনক শিক্ষক মাসুদ রানার সাথে ধওলাই গাঁওচুলকা এলাকার এক কলেজ ছাত্রীর দীর্ঘ দিন ধরে পরকীয়া প্রেম চলে আসছে। রবিবার রাতে শিক্ষক মাসুদ তার প্রেমিকার বাড়ি গেলে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জনতার হাতে আটক শিক্ষক মাসুদ রানাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
সোমবার সকালে প্রেমিকা ও প্রেমিক মাসুদ রানা দুইজনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এতে বাধ সাজে শিক্ষক মাসুদের স্ত্রী। তারপর সোমবার সারা দিন চলে নানা নাটকীয়তা। পুলিশ হেফাজতে থাকা শিক্ষক মাসুদ রানাকে নিয়ে পুলিশও অনেকটা বিপাকে পড়েন। পরে মধ্য রাতে প্রেমিকা কলেজ ছাত্রী তার প্রেমিক স্কুল শিক্ষক মাসুদ রানার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। ফলে পুলিশ হেফাজতে থাকা স্কুল শিক্ষক মাসুদ রানাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার সকালে লালমনিরহাট জেল-হাজতে প্রেরণ করে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।
হাতীবান্ধা থানার ওসি উমর ফারুক জানান, রবিবার রাতে উত্তেজিত জনতা শিক্ষক মাসুদকে আটক করে পুলিশে দেয়। কিন্তু সোমবার সারা দিন কোনো অভিযোগ বা আপোষ কপি পাওয়া যায়নি। সোমবার মধ্য রাতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেন তার প্রেমিকা। ফলে পুলিশ হেফাজতে থাকা ওই শিক্ষককে গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার সকালে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।