Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কড়া নিরাপত্তায় গোপনে প্রেসিডেন্ট মুরসিকের দাফন সম্পন্ন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০১৯, ০২:১০ PM
আপডেট: ১৮ জুন ২০১৯, ০২:১০ PM

bdmorning Image Preview


কায়রো কারাগারে ‘চিকিৎসার অভাবে’ মৃত্যুর কোলে ঢলেপড়া মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে কঠোর নিরাপত্তায় গোপনীয়ভাবে শুধু পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীদের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার ভোরে দাফন করা হয়েছে। মুরসির আইজীবীদের বরাত দিয়ে খবরটি নিশ্চিত করা হয়।

মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ তথ্য জানান মুরসির ছেলে আহমদ মুরসি।

আহমদ মুরসি জানান, মুরসির নিজ শহর শারকিয়্যায় মুরসির দাফন হোক সেটি চেয়েছিল তার পরিবার। কিন্তু মিসর সরকার সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি। তাকে নেসার সিটিতে কড়া নিরাপত্তায় মঙ্গলবার ভোর ৫টায় সমাহিত করা হয়।

সোমবার আদালতেই মৃত্যুর কোলে ঠলে পড়েন মিসরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একমাত্র প্রেসিডেন্ট। মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিচারকের কাছে কথা বলার অনুমতি চাইলে তাকে কথা বলতে অনুমতি দেয়া হয়েছিল। এ সময় তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন। একপর্যায়ে তিনি হার্টঅ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

৬৭ বছর বয়স্ক মোহাম্মদ মুরসি সোমবার তার বিরুদ্ধে আনা এক গুপ্তচরবৃত্তির মামলায় হাজিরা দিচ্ছিলেন। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সাথে সন্দেহজনক যোগাযোগ রাখার অভিযোগ এনে ওই মামলা করা হয়েছিল।

মিসরের ‘আরব বসন্ত’ নামে খ্যাত সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর ২০১২ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল তাতে মোহাম্মদ মুরসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা এবং মিসরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট। কিন্তু নানা ষড়যন্ত্রে এক বছর পরই তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করে। তখন থেকেই তিনি কারাবন্দী আছেন। মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তার সমর্থক এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে মিসর সরকার ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাপ্রধান আবদুল ফাত্তাহ আল সিসি ক্ষমতা দখল করেন এবং পরে প্রহসনের নির্বাচনে মিসরের প্রেসিডেন্ট হন। এখনো তিনি প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত আছেন।

Bootstrap Image Preview