Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সুন্দরবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঐতিহ্য ঘোষণা ইউনেস্কোর

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০১৯, ০৮:৩১ PM
আপডেট: ১৫ জুন ২০১৯, ১০:৫৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত পৃথিবীর একক বৃহত্তম প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বন হচ্ছে আমাদের সুন্দরবন। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে এ বন অবস্থিত।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবন। যা বাংলাদেশে অবস্থিত। সমুদ্র উপকূলবর্তী এই বনভূমি গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মোহনায় অবস্থিত এবং বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গজুড়ে বিস্তৃত। ১৯৯৭ সালে সুন্দরবন ইউনেস্কো থেকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এর মোট আয়তন ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশের আয়তন প্রায় ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার।

এ বনভূমিটিতে বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানান ধরণের বিচিত্র পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। এছাড়া এ বনভূমিতে রয়েছে বিখ্যাত সুন্দরী ও গোলপাতা গাছ এবং বনের মৌমাছিদের তৈরি মৌচাক থেকে প্রতিবছর সংগ্রহ করা হয় প্রচুর পরিমাণে মধু।

সুন্দরবনে বনে প্রতি বছর হাজার হাজার দেশী-বিদেশী অসংখ্যক পর্যটক ঘুরতে আসেন এই বনে। অনেকের কাছে সুন্দর বনের সৌন্দার্য জ্ঞান চর্চা ও আহোরণের অন্যতম এক মাধ্যম।

বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশ বস্তুত একই নিরবচ্ছিন্ন ভূমিখণ্ডের সন্নিহিত অংশ হলেও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ভিন্ন ভিন্ন নামে সূচিবদ্ধ হয়েছে তা। নামগুলো হচ্ছে- ‘সুন্দরবন’ ও ‘সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান’।

তবে সুন্দরবন রক্ষায় যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাকে অপর্যাপ্ত মনে করছে ইউনেস্কো । সেদিক থেকেই গত সপ্তাহে সুন্দরবনকে বিপদসংকুল বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেস্কো।

সুন্দরবনের খুব কাছে বাগেরহাটের রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে সেখানকার জীববৈচিত্র বিপন্ন হয়ে উঠেছে।

একই সঙ্গে ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে যাতে তাদের সুন্দরবন রক্ষায় একটি সংশোধনীমূলক পরিকল্পনা করতে ডাকা হয়। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এখন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্রই সুন্দরবনকে বিপন্ন ঘোষণা করেছে। যদিও বাংলাদেশ সরকার বরাবরই দাবি করে আসছে যে, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি করবে না। কিন্তু এমন আশ্বাসে সন্তুষ্ট হয়নি ইউনেস্কো।

২০১৭ সালে সরকার ইউনেস্কোর ৪১তম সভায় অংশ নিয়ে এ ইস্যুতে আলোচনা করে।

ইউনেস্কোর দাবি, বাংলাদেশ সরকারের ভাষ্যমতে সুন্দরবনকে বিপদমুক্ত করতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। উল্টো সরকার সুন্দরবনের পাশে পায়রা নদীতে আরো দু’টি নতুন পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করছে। এছাড়া সুন্দরবন এলাকায় নতুন নতুন শিল্প প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এর জন্য সুন্দরবনের নদীগুলো ড্রেজিং করা হচ্ছে। ইউনেস্কো আশঙ্কা করছে, এসব কর্মকাণ্ডের ফলে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ পরিবেশ বিনষ্ট হতে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশ সরকার সুন্দরবন রক্ষায় যে সফলতা পেয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য।

Bootstrap Image Preview