Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২১ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কেক নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কলেজছাত্রীর শরীরে আগুন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০১৯, ১১:০০ AM
আপডেট: ১৪ জুন ২০১৯, ১১:১২ AM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


নরসিংদী পৌর এলাকার বীরপুর মহল্লায় দুর্বৃত্তরা  ফুলন রানী বর্মণ (২২) নামে এক কলেজ ছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় এ ঘটনা ঘটে।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় এই শিক্ষার্থীকে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মেডিকেলে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করার হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক জানার তাঁর শরীরের ২০ ভাগ বেশি পুড়ে গেছে। বর্তমানে  ফুলন রানী বর্মণ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

দগ্ধ ফুলন বর্মণ বীরপুর মহল্লার যুগেন্দ্র বর্মণ এর মেয়ে ও নরসিংদীর উদয়ন কলেজ থেকে গত বছর এইচএসসি উর্ত্তীণ হয়ে কোথাও ভর্তি হননি।

পুলিশ ও দগ্ধ কলেজ ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানায়, রাতে সাড়ে ৮টার দিকে তার মামা সাথে দোকানে কেক আনতে যায়। মামা কেক কিনে দিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ফুলন কেক নিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় পৌছলে অজ্ঞাতনামা দুইজন দুর্বৃত্ত তার হাত মুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে কেরোসিন ঢেলে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ফুলনের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন (বিপিএম) ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দুজ্জামান সহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তপন মল্লিক বলেন, হঠাৎ ডাক চিৎকার শুরু হয়। ঘর থেকে বের হয়ে দেখি, একটা মেয়ের শরীরে আগুন জ্বলছে। পরে একটি ভেজা চট নিয়ে তার শরীরে চাপা দিয়ে আগুন নেভানো হয়।

অপর প্রত্যক্ষদর্শী সঞ্জিত বর্মন বলেন, আগুন লাগানোর পর ফুলন চিৎকার করছিল। ওই সময় তার মাথার সকল চুল পুরে যায়। এবং শরীরের পেছনের দিকে বেশি পুড়েছে। আগুন নিভিয়ে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তারা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করেন। তার শরীরের ২০ শতাংশ পুড়েছে বলে চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন।

অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধ ফুলনের কাকাতো ভাই সুমনের শ্যালক সজিব ফুলনকে পছন্দ করত। গত দুই বছর যাবৎ ফুলনকে প্রেম প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু ফুলন এতে রাজি ছিল না। এরই প্রেক্ষিতে এ আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন।

পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন বলেন, মেয়েটি কেক নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কে বা কাহারা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি কেরোসিন বোতল, দিয়াশলাই বক্স, তার শরীরের ওড়না, চুলসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছি। একই সাথে নেপথ্যের কারণ ও জড়িতদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিয়েছি। যারা ঘটনার সাথে জড়িত দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সে জন্য তিনি তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য এলাকাবাসীকে অনুরোধ জানান।

Bootstrap Image Preview