Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ট্রাম্প কোনো বার্তা পাওয়ার যোগ্য নন: খামেনি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০১৯, ০৯:৪৩ AM
আপডেট: ১৪ জুন ২০১৯, ০৯:৪৩ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


আমি ব্যক্তি ট্রাম্পকে কোনো বার্তা পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করি না। তার জন্য আমার পক্ষ থেকে কোনো বার্তা নেই। তাকে আমি কোনো বার্তা দেবো না বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) তেহরানে জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক এই নেতা।

আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসলে ইরানের উন্নতি হবে বলে ট্রাম্প যে দাবি করেছেন তার প্রতি ইঙ্গিত করে খামেনি বলেন, আল্লাহর রহমতে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় না বসেই তাদের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকার পরও ইরান উন্নতি করবে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে বৈঠকের সময় জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে বলেন, আমি আপনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বার্তা নিয়ে এসেছি।

এর জবাবে আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, আপনার সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার বিষয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আপনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে যা তুলে ধরেছেন সে বিষয়ে বলব আমি ব্যক্তি ট্রাম্পকে বার্তা বিনিময়ের যোগ্য বলে মনে করি না। তার জন্য আমার পক্ষ থেকে কোনো জবাব নেই। আমি তাকে কোনো উত্তর দেবো না।

ইরানের সর্বোচ্চ এই নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইরানের কোনো আস্থা নেই। পরমাণু সমঝোতা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি আমরা করব না। কারণ কোনো স্বাধীনচেতা ও বিজ্ঞ জাতিই চাপের মুখে আলোচনাকে মেনে নিতে পারে না।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে সরকার পরিবর্তন করতে চান না বলে যে দাবি করেছেন তা সত্য নয়।

তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাগদাদের সমস্যা সরকার পরিবর্তন জনিত নয়। কারণ মার্কিন মার্কিন প্রশাসন এ ধরনের ইচ্ছা পোষণ করলেও তারা তা বাস্তবায়নের ক্ষমতা রাখে না। তাই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টরা গত ৪০ বছর ধরে ইসলামি প্রজাতন্ত্রকে ধ্বংসের চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাখতে চান বলে জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতি ইঙ্গিত করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্রের বিরোধী। পরমাণু অস্ত্র হারাম ঘোষণা করে তিনি এর আগে ফতোয়াও দিয়েছেন।

এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, কিন্তু আমরা যদি পরমাণু অস্ত্র বানাতে চাইতাম তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কিছুই করতে পারতো না। তাদের বিরোধিতা আমাদের জন্য কোনো বাধা সৃষ্টি করতে পারতো না।

তিনি বলেন, তারা (মার্কিন প্রশাসন) যে পরমাণু অস্ত্রের কথা বলছে তাদের গুদামেই কয়েক হাজার পরমাণু বোমা রয়েছে। তাদের এ কথা বলার অধিকার নেই যে, কোন দেশের পরমাণু অস্ত্র থাকবে আর কোন দেশের থাকবে না। আমরা বলতে পারি কারণ আমরা পরমাণু অস্ত্রের বিরোধী।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি আরো বলেন, ট্রাম্প বলছেন ইরানের সঙ্গে আন্তরিক আলোচনা চান। আমরা এ কথা কোনোভাবেই বিশ্বাস করি না। ট্রাম্পের মতো ব্যক্তির পক্ষ থেকে আন্তরিক আলোচনা সম্ভব নয়। মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে আন্তরিকতা খুবই কম। আমরা বিশ্বাস করি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। কারণ তারা আমাদের সঙ্গে সর্বোচ্চ শত্রুতা করেছে এবং এখনও করে যাচ্ছে।

পরমাণু সমঝোতার ভিত্তিতে মার্কিনীদের সঙ্গে ইরানের অতীতের আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরমাণু সমঝোতার পর প্রথম যে ব্যক্তি তা লঙ্ঘন করেছিলেন তিনি হলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি সেই ব্যক্তি যিনি ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার আবেদন জানিয়েছিলেন এবং এ লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারীও পাঠিয়েছিলেন।

Bootstrap Image Preview