টিকটকে আসক্ত স্ত্রী। আসক্তি এতটাই বেড়ে যায় যে সন্তানদের অবহেলা করা শুরু করে। এই কারণে স্বামীর কাছে বকুনি খেতে হয়। সেই ‘অপমানে’ সহ্য করতে না পেরে লাইভে এসে আত্মহত্যা করেছে স্ত্রী।
কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করে। কীটনাশক খাওয়ার ঘটনাটি ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখে। মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ার আগে স্বামীর কাছে তার শেষ আবেদন, সন্তানদের খেয়াল রেখো।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের তামিলনাড়ুর আরিয়ালরে। ২৪ বছরের অনীতার চার বছরের কন্যা সন্তান এবং দু’বছরের পুত্র সন্তান আছে। স্বামী পালালিভেল কর্মসূত্রে সিঙ্গাপুরে থাকে। স্ত্রীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। তবে অনীতার এই পরিণতির জন্য তার টিকটক আসক্তিকে দায়ী করছে অনেকেই।
এ বিষয় পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, টিকটকের অ্যাপের কথা বন্ধুদের কাছ থেকে জানতে পারে অনীতা। শুরু হয় অ্যাপের ব্যবহার। ধীরে ধীরে টিকটকে আসক্তি বাড়তে থাকে। সেই আসক্তি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে নাওয়া খাওয়া ভুলে দিনরাত মোবাইলে মগ্ন থাকত। সংসার ও সন্তানদের অবহেলা করা শুরু করে।
অনীতার অবস্থা দেখে চিন্তায় পড়ে যায় পরিজনেরা। তারা বিদেশে থাকা স্বামীকে পুরো বিষয়টি জানায়। বাড়ির লোকেদের কাছ থেকে সব শুনে অনীতাকে টিকটক বেশি ব্যবহার না করার জন্য অনেক বোঝান পালালিভেল। কিন্তু সেই বোঝানোতেও কোনও কাজ হয়নি। টিকটক করা বন্ধ করেননি অনীতা। বরং আগের থেকে আরও বেড়ে যায়।
একদিন টিকটকে ব্যস্ত থাকার সময় খেলতে গিয়ে গুরুতর আহত হন অনীতার মেয়ে। বাড়ির লোকেরা ছুটে মেয়েটিকে বাঁচায়। মেয়ের এই অবস্থা দেখে হুঁশ ফেরে অনীতার। বুঝতে পারে টিকটকের নেশার গ্রাসে সে এখন। ওদিকে বাড়ির লোকেরা আরও একবার স্বামীকে ফোন করে সব জানায়।
রাগের মাথায় স্ত্রীকে ফোন করে তুমুল বকা দেন পালালিভেন। স্বামীর কাছে বকা খেয়ে চরম পথ বেছে নেয় অনীতা। ঘরে থাকা কীটনাশক গলগল করে খেয়ে নেয়। তার আগে মোবাইলে ভিডিও রেকডিং চালু করে। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতাল এবং সেখান থেকে ত্রিচির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।